আলমগীর মানিক, রাঙামাটি »
পার্বত্য জেলা রাঙামাটিতে রাজস্ব আয়ের অন্যতম উৎস কাপ্তাই হ্রদে আজ থেকে পরবর্তী তিনমাসের জন্য সকল প্রকার মৎস্য সম্পদ আহরণ ও বিপনন সম্পূর্নভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
রাঙামাটির জেলা প্রশাসন কর্তৃক জারিকৃত নিষেধাজ্ঞা জারির মাধ্যমে পহেলা মে থেকে পরবর্তী তিন মাস পর্যন্ত কাপ্তাই হ্রদে সবধরনের মাছ ধরা, বাজারজাতকরণ এবং পরিবহনের ওপর নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে বলে জানিয়েছেন রাঙামাটির জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশিদ।
এই নিষেধাজ্ঞার ফলে আজ থেকে কাপ্তাই হ্রদে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করা প্রায় ২৩ হাজার জেলে আজ থেকে পরবর্তী তিন মাসের জন্য বেকার হয়ে দিন কাটাবে। এসব জেলেদের জন্য সরকারিভাবে বিশেষ ভিজিএফ কর্মসূচীর আওতায় প্রতি পরিবারকে সরকারের পক্ষ থেকে মাসে ৩০ কেজি করে চাউল বরাদ্ধ দেওয়ার কথা রয়েছে।

রাঙামাটির জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশিদ জানিয়েছেন, শুক্রবার থেকে বেকার হয়ে যাওয়া জেলেদের জন্য মন্ত্রণালয় থেকে বরাদ্দ না আসা পর্যন্ত তাদেরকে সংশ্লিষ্ট উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাদের মাধ্যমে ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে ইতিমধ্যে রাঙামাটির সবগুলো উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাদেরকে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। জেলা প্রশাসক জানিয়েছেন, আমরা ইতোমধ্যেই নিবন্ধনকৃত জেলেদের তালিকা সংশ্লিষ্ট্য মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। আশা করছি বরাদ্ধ মঞ্জুর হলে কোনো সমস্যা হবেনা।

বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশন বিএফডিসি রাঙামাটির ব্যবস্থাপক নৌবাহিনীর কর্মকর্তা তৌহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, বন্ধকালিন সময়ে কাপ্তাই হ্রদে কার্প জাতীয় মাছের পোনা অবমুক্ত করা হবে। বর্তমান সময়টি হ্রদের মা মাছগুলো ডিম ছাড়বে এবং প্রজননের এটি উপযুক্ত সময়। তাই এই বন্ধকালিন সময়ে অসাধু মৎস্য শিকারীরা যাতে মাছ ধরতে না পারে সেই লক্ষ্যে নিয়মিতভাবেই মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে।
ইতোমধ্যেই রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ির চেকপোষ্টগুলোতেও চিঠি দিয়ে নজরদারি বৃদ্ধির অনুরোধ জানানো হয়েছে।
বাংলাধারা/এফএস/টিএম/এএ
				












