২৬ অক্টোবর ২০২৫

দৈনিক লেনদেন ২১ হাজার টাকা

কালুরঘাটে ‘ফেরি বন্ধ রেখে’ নৌকায় চাঁদাবাজি

কালুরঘাটে দু’টি ফেরি চালু থাকার কথা থাকলেও দিনের বেশির ভাগ সময় ফেরি চালু থাকে একটি, অন্যটি থাকে বন্ধ। এতে দুই পাড়ে দীর্ঘ লাইন পড়ে গাড়ির। এসময় ফেরির অপেক্ষা না করে মানুষ নদী পার হন নৌকাযোগে। অভিযোগ রয়েছে, একটি সিন্ডিকেট মাঝিদের কাছ থেকে টাকা তুলে ফেরি চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করাচ্ছেন। যাতে নৌকায় পারাপার হতে মানুষ বাধ্য হন।

কালুরঘাট সেতু বন্ধের পর থেকে কর্ণফুলী নদী পারাপারে মানুষের ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে। সময় মতো ফেরি না চলার কারণে নৌকায় পারাপার করতে হচ্ছে যাত্রীদের।

জানা গেছে, যাত্রীবাহী নৌকার প্রতি ট্রিপে মাঝিদের কাছ থেকে ৩০ টাকা করে নেয় সিন্ডিকেটের লোকজন। দৈনিক একটি নৌকা অন্তত ২০ বার যাত্রী নিয়ে পারাপার করেন। সেই হিসেবে একটি নৌকার মাঝি দেন ৬০০ টাকা। কালুরঘাটে যাত্রী পারাপারে নিয়োজিত রয়েছে প্রায় ৩৫টি নৌকা। এতে দৈনিক ২১ হাজার টাকা পান সিন্ডিকেটের লোকজন। এই টাকা থেকে নদীর দু’পাড়ের থানা ও ফাঁড়ির পুলিশ এবং ফেরির দায়িত্বশীল লোকজনকে ম্যানেজ করেন। অবশিষ্ট টাকা নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি হয়।

অভিযোগ রয়েছে, স্থানীয় এক পৌর কাউন্সিলরের লোকজন এ চাঁদাবাজিতে জড়িত।

চাঁদাবাজি বিষয়ে অভিযোগ পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ মামুন মাঝিদের সাথে একাধিকবার কথা বলেছেন। তিনি বলেন, ‘নৌকার মাঝিদের কাছ থেকে চাঁদাবাজি করা হচ্ছে— এমন অভিযোগ পেলেও মাঝিরা মুখ খুলতে নারাজ। তবে বিষয়টি নজরদারিতে রাখা হয়েছে।’

পৌর মেয়র মো. জহুরুল ইসলাম জহুর বলেন, ‘নৌকার মাঝিদের কাছ থেকে একটি সিন্ডিকেট টাকা নিয়ে ফেরি চালকদের সাথে আঁতাত করে একটি ফেরি বন্ধ রাখতে বলেন। মাঝিদের কাছ থেকে নেওয়া টাকার অংশ তাদেরকে দেওয়া হয় বলে জানতে পেরেছি। সেই কারণে বারবার বলা পরও চালকরা একটি ফেরি চালায়। একটি ফেরি চললে ওই সিন্ডিকেটের পোয়াবারো।’

নদীর পশ্চিম পাড়ে পুলিশ যে টাকা নেওয়ার খবর পাওয়া গেছে তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে জানিয়ে পৌর মেয়র বলেন, ‘বোয়ালখালী চাঁদাবাজদের ঠাঁই হবে না। রোববার জেলা সমন্বয় কমিটির সভায় বিষয়টি তুলে ধরবো।’

আরও পড়ুন