বাংলাধারা প্রতিবেদন »
লালখান বাজার এলাকা থেকে কিশোর গ্যাং লিডার জাহিদসহ পাঁচজনকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করেছে খুলশী থানা পুলিশ।
শনিবার (১৯ ডিসেম্বর) সকালে চট্টগ্রামের খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শহিনুজ্জামান জানান, রাতে আলমগীর নামে এক যুবককে ছরিকাঘাত করার পর রাতব্যাপী অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, স্থানীয় আধিপত্য নিয়ে লালখানবাজারে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে ঝামেলা চলছিলো। এরই ধারাবাহিকতায় লালখান বাজার ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর পদপ্রার্থী বেলালের অনুসারী আলমগীরকে জাহিদের নেতৃত্বে ছুরিকাঘাত করা হয়। আলমগীর বাসায় প্রবেশের আগে হত্যার উদ্দেশে সুমন নামে একজন উপর্যপুরি ছুরি দিয়ে ছুরিকাঘাত করে । পরে ঘটনাস্থলের সিসিটিভির ফুটেজ দেখে অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ ঘটনায় ব্যবহৃত ছুরিটি ও উদ্ধার করা হয়েছে। কিশোর গ্যাং লিডার জাহিদের নেতৃত্বে এক থেকে দেড়শ সদস্য সক্রিয় রয়েছে বলেও জানিয়েছেন ওসি।
তিনি আরও বলেন, গ্রেপ্তার জাহিদের বিরুদ্ধে নগরীর বিভিন্ন থানায় ১৩টি মামলা ও সুমনের বিরুদ্ধে ছয়টি মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তার পাঁচজন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা দিদারুল আলম মাসুমের অনুসারী বলে জানা গেছে।
মোহাম্মদ শাহীনুজ্জামান আরও বলেন, আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে সামনে রেখে কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে স্থানীয় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে উভয়পক্ষই মরিয়া হয়ে আছে। উভয়পক্ষই চাচ্ছে একপক্ষ আরেক পক্ষকে সরিয়ে দিয়ে এককভাবে অধিপাত্য বিস্তার করতে।
তিনি বলেন, এরই প্রেক্ষিতে সাদা পোশাকের পুলিশসহ টহল বৃদ্ধি করা হয়েছে লালখান বাজার এলাকায়।
এদিকে গুরতর আহত আলমগীরকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বাংলাধারা/এফএস/এআর













