কক্সবাজার প্রতিনিধি »
কক্সবাজারের দ্বীপ উপজেলা কুতুবদিয়া চ্যানেলে বিদ্যুতের সরঞ্জামবাহী এমিট রোজানিয়া-০৭ নামক এক টাগবোটে (সাহায্যকারি জলযান) ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।
রোববার (১৮ডিসেম্বর) ভোররাত ৩টার দিকে কুতুবদিয়া দ্বীপের বড়ঘোপ অমজাখালী উপকূলের আধা কিলোমিটার পূর্বে কুতুবদিয়া চ্যানেলে ডাকাতির এ ঘটনা ঘটেছে।
এ সময় ডাকাতদল টাগবোটের লস্কর, ড্রাইভার ও বাবুর্চিসহ অন্যান্য কর্মচারীদের মারধর করে ডিজেল ভর্তি ড্রাম, ব্যাটারি, বিভিন্ন ধরণের ক্যাবলসহ প্রায় ২০ লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে।
এ ঘটনায় মামলার পর অভিযান চালিয়ে লুটকৃত মালামালসহ ডাকাতদলের দুই সদস্যকে সোমবার পেকুয়ার মগনামা ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা থেকে আটক করেছে কুতুবদিয়া থানা পুলিশ।
আটকরা হলো— মগনামা পশ্চিমকুল জালিয়া পাড়া এলাকার আবু তৈয়বের ছেলে রায়হান (২০) এবং একই এলাকার আবু জাফরের ছেলে জাহেদুল ইসলাম (২৩)।
থানা পুলিশ আটককৃতদের আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড আবেদন করলে আদালত রিমান্ড না-মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
এর আগে ডাকাতির এ ঘটনায় টাগবোটের মাস্টার জিয়াবুল কবির বাদী হয়ে কুতুবদিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, সরকারের চলমান দ্বীপ কুতুবদিয়ায় শতভাগ বিদ্যুতায়ন প্রকল্পে সাগরের তলদেশে সাব-মেরিন ক্যাবল স্থাপনের জন্য নিয়োজিত ইন্দোনেশিয়ান কোম্পানি পিটি নাউটিক মেরিটাইম সালভেজ জাকার্তার লোকাল এজেন্ট মো. মহসিন সাব-মেরিন ক্যাবল স্থাপনের কাজে ব্যবহারের জন্য এমটি রোজানিয়া-০৭ নামে একটি টাগবোট ভাড়া করেন। সাগরের তলদেশে ক্যাবল স্থাপনের কাজ শুরু করার জন্য বার্জ ডি.বি.কে. শিপ-০১ ও এমটি রোজানিয়া-০৭ টাগবোট কুতুবদিয়া চ্যানেলে পাাশাপাশি অবস্থান করছিল।
এ অবস্থায় গত ১৭ ডিসেম্বর দিনগত (রবিবার ভোররাত) রাত ৩ টার দিকে পৃথক ট্রলার যোগে ২৫-৩০ জনের দুর্বৃত্ত অস্ত্রসহ এমটি রোজানিয়া-০৭ টাগবোটে উঠে মাস্টার,লস্করসহ টাগবোটের ৮ কর্মচারীর মুঠোফোন লুটের পর অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ইঞ্জিনিয়ারের কক্ষে আটকে রাখে।
এ সময় ডাকাতেরা ডিজেলের ব্যারেল, ব্যাটারী, গ্যাস সিলিন্ডার, কন্ট্রোল ক্যাবল, ক্যাপ্টেন ব্রীজের ক্যাবলসহ প্রায় ২০ লক্ষাধিক টাকার মূল্যবান যন্ত্রপাতি নিয়ে যায়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কুতুবদিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, মামলার পর ঘটনায় জড়িত দু‘জনকে আটক করা হয়েছে। আটকদের স্বীকারোক্তি মতে লুন্ঠিত সিংহভাগ মালামালও উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি অভিযুক্তদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন ওসি।