মাকসুদ আহম্মদ, বিশেষ প্রতিবেদক»
চট্টগ্রাম শহরের সিটি গেট পার হলেই জেলা পুলিশের কার্যক্রম শুরু। নানা অপরাধের ঘটনায় সীতাকুন্ড উপজেলার ইউনিয়ন ভিত্তিক নিয়োজিত গ্রাম পুলিশের দায়িত্ব ও কর্তব্য নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। গ্রামের বিভিন্ন সড়কে ও কালভার্টের উপর গভীর রাত পর্যন্ত আড্ডা থেকে নানা অপরাধ সংগঠিত হচ্ছে এমন ধারনা গ্রামবাসীর। মঙ্গলবার ভোরে আকিলপুরের একটি নির্মাণাধীন স্থাপনার প্রায় দেড়শ’ ফুট বিদ্যুতের সার্ভিস তার চুরির ঘটনায় বিস্মিত এলাকাবাসি।

এদিকে, মঙ্গলবার ভোরে চক্রান্তকারীদের আর্শীবাদপুষ্ট হয়ে একটি চক্র ওই স্থাপনার বিদ্যুতের সার্ভিস তার কেটে নিয়েছে। আনুমানিক ফজরের নামাজের পর প্রায় দেড়শ’ ফুট তার কেটে নিয়ে নির্মাণাধীন কাজের ব্যঘাত ঘটিয়েছে। এরপর দীর্ঘ প্রায় ৫ ঘন্টা পর আবার বিদ্যুত সংযোগ পেতে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হতে হয়েছে ভুমি মালিককে।
এ ব্যাপারে সীতাকুন্ড মডেল থানা পুলিশকে অবহিত করা হয়েছে মঙ্গলবার। বিষয়টি তদন্ত করে অপরাধীকে আইনের আওতায় আনার বিষয়ে আশ্বস্থ করেছেন সীতাকুন্ড মডেল থানা পুলিশের এস আই মোহাম্মদ ইমরান।
অপরদিকে সীতাকুন্ড উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের আওতায় কাজ করছেন গ্রাম পুলিশ বাহিনী। অথচ গ্রাম পুলিশ বাহিনী থাকার পরও ছোট কুমিরার নীমতল থেকে আকিলপুর পর্যন্ত অনিরাপদ হয়ে উঠেছে। ভোর সকালে যেমন বিদ্যুতের পিলার তেকে সার্ভিস লাইন কেটে নিয়ে যাচ্ছে অপরাধীরা তেমনি গভীর রাত পর্যন্ত রাস্তায় থাকা কালভার্টে আড্ডা দিচ্ছে বিভিন্ন জন। ফলে গ্রাম পুলিশের দায়িত্বহীনতার বিষয়টি উঠে এসেছে।

অভিযোগ রয়েছে, বিভিন্ন ভাবে স্থানীয় কয়েকটি চক্র এ স্থাপনা নির্মাণে বাধা প্রয়োগের অপচেষ্টা করে আসছে। স্থানীয় নীমতলা এলাকার মোহাম্মদ রফিক সম্প্রতি ভূমি মালিকের ভূল নাম দিয়ে মধ্যম ছোট কুমিরার ৭ নং ইউনিয়ন পরিষদে হয়রানিমূলক অভিযোগ দিয়েছেন। যা ভূমি মালিককে হয়রানির অপচেষ্টা মাত্র। অথচ ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগকারী নীমতলা এলাকার মোহাম্মদ রফিক ও মোহাম্মদ শাহজাহান ২০০৪ সালেই এই ভূমি বিক্রি করে দিয়েছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু সুফিয়ানের কাছে। তিনি নিজ নামে নামজারী ও খাজনা দাখিলের পর ২০২১ সালে এই ভূমি বর্তমান মালিকের কাছে বিক্রি করে দিয়েছেন। তিনিও নিজ নামে এসি ল্যান্ড ও খাজনা অফিসের মাধ্যমে নামজারী করে খাজনাও পরিশোধ করেছেন।

আরো অভিযোগ রয়েছে, মোহাম্মদ মাইনুল ইসলাম নামের আরেকজন ৬নং ইউনিয়ন পরিষদে হয়রানিমূলক অভিযোগ দিয়ে ভূমি মালিককে হয়রানির অপচেষ্টা চালাচ্ছেন। মোহাম্মদ মাইনুল ইসলাম মূলতঃ মেয়াদোত্তীর্ণ বায়না সূত্রে জায়গা না কিনেই মালিকানা দাবি করছেন। তিনি প্রবাসী লুৎফুল হায়দারের কাছ থেকে পার্শ্ববর্তী একটি জায়গা ক্রয়ের বায়না করেছিলেন মাত্র। তাঁর কাছে জায়গা ক্রয়ের যেমন কোন দলিল নেই তেমনি কোন খাজনা পরিশোধেরও দাখিলা নেই। ক্ষমতার অপব্যবহার করতে গিয়ে রাতের আঁধারে জনৈক মাইনুলের ভাই কামরুল বিভিন্ন সময়ে চিহ্নিত এই ভূমির সীমানা পিলার উপড়ে ফেলেছেন বলে প্রতিবেদকের কাছে স্বীকার করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে অভিযোগ পাওয়া গেছে, জনৈক মাইনুল গং গ্রামের ভেতর একটি কয়লা তৈরির কারখানা স্থাপন করেছিলেন ২০২১ সালে। কারখানার বিষাক্ত ধোঁয়ার কারনে পার্শ্ববর্তী তিন গ্রামের জনসাধারনের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়। পরে ৭/৮ মাসের মধ্যে স্থানীয় গ্রামবাসি গণস্বাক্ষর দিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে ক্ষতিকর কয়লা তৈরির কারখানা উচ্ছেদ করতে সক্ষম হয়েছে।













