বাংলাধারা প্রতিবেদন »
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী এম রেজাউল করিম চৌধুরীর পক্ষে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় যুবলীগের চেয়ারম্যান এবং সাধারণ সম্পাদক সভার উদ্যোগ নেন। এতে চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগের আহবায়ক এবং যুগ্ম আহবায়কদের ডেকে বিরোধ মেটানো হয়।
শনিবার (২ জানুয়ারি) নগরীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে সাবেক মেয়র আলহাজ এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে নগর যুবলীগ স্মরণসভার আয়োজন করছে। মূলত চসিক নির্বাচনকে লক্ষ্য রেখেই এই সভা।
সভায় প্রধান অতিথি থাকবেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি এবং প্রধান বক্তা থাকবেন কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক। তবে শীর্ষ নেতারা ডেকে বিরোধ মিটিয়ে দিলেও একাংশের মান এখনো ভাঙেনি। একটি অংশের ওইসভায় যোগদানের সম্ভাবনাও কম।
যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ এবং সাধারণ সম্পাদক ম্ইানুল হাসান খান নিখিলের সামনে নগর যুবলীগের আহবায়ক এবং চার যুগ্ম আহবায়ক উপস্থিত ছিলেন।
আহবায়কের বিরুদ্ধে চার যুগ্ম আহবায়কের অভিযোগ ছিল যুবলীগের জাতীয় কংগ্রেসে কাউন্সিলর, ডেলিগেটর কার্ড বিতরণে অনিয়ম, চট্টগ্রামে যুবলীগের বিভাগীয় প্রতিনিধি সভায় নিয়ম নীতি তোয়াক্কা না করে কেবল আহবায়কের নাম দিয়ে আমন্ত্রণ কার্ড ও ডেলিগেটর কার্ড ছাপিয়ে নির্দিষ্ট নেতৃবৃন্দ ছাড়া পছন্দসই হাইব্রিড অনুপ্রবেশকারীদের মাঝে বিতরণ করে সমাবেশস্থলে প্রবেশ করানো।
এছাড়াও নিজের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে যেকোন কাজে কেন্দ্রীয় নেতাদের দোহাই দেয়া, সংগঠনকে ব্যক্তি স্বার্থে ব্যবহার, যুগ্ম আহবায়কদের সাথে আলাপ আলোচনা ছাড়া ওয়ার্ড পর্যায়ে ভুঁইফোড় এবং চিহ্নিত সমাজবিরোধীদের নিয়ে কর্মসূচি গ্রহণ করে সেখানে নিয়ে অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে ওয়ার্ড পর্যায়ে পরীক্ষিত নেতাকর্মীদের মধ্যে বিভাজন এবং অসেন্তোষ সৃষ্টি করা। নিজের পছন্দমত লোকজন দিয়ে ওয়ার্ডে পকেট কমিটি গঠনের চেষ্টা করা।
নগর যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক ফরিদ মাহমুদ বলেন, আহবায়ক সবকিছু কুক্ষিগত করতে চায়। যুবলীগকে তিনি নিজের সম্পদ মনে করেন। সংগঠনের সব কাগজপত্র, প্যাড এমনকি যুগ্ম আহবায়কদের সিল বানিয়ে তিনি নিজের বাসায় রেখেছেন। তার সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। বক্তৃতা কে দেবে, নিউজ কিভাবে হবে, ছবি কিভাবে যাবে, স্টেজে কে কিভাবে বসবে? আমার মনে হয় এসব তার মানসিক সমস্যা। নির্বাচন নিয়ে আমাদের একযোগে কাজ করতে হবে। আহবায়কের আচরণের উপর নির্ভর করছে ভবিষ্যৎ পথচলা।
নগর যুবলীগের আহবায়ক মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বাচ্চু বলেন, ঐক্যবদ্ধভাবেই সবকিছু হবে বলে এখনো পর্যন্ত জানি। তাদের বিরুদ্ধে আমার কোন অভিযোগ নেই। আমার পক্ষ থেকে কোন সমস্যা নেই। সংগঠনের নিয়ম এবং বাধ্যবাধকতা মেনে সবাইকে নিয়ে চলতে চাই।
যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাঈনুল হাসান খান নিখিল বলেন, যুবলীগের বিরোধ মিটিয়ে দিয়েছি। এখন আর কোন বিরোধ নেই। ভুল মানুষেরই হয়। কেউ যদি ইচ্ছাকৃতভাবে সভায় যোগদান না করেন, তাদের উদ্দেশ্যে আমি বলব। যুবলীগে তাদের প্রয়োজন নেই। আমরা চাই যুবলীগ সবসময় ঐক্যবদ্ধ থাকবে। এখানে বিভেদের কোন সুযোগ নেই।
বাংলাধারা/এফএস/এআর













