চবি প্রতিনিধি »
কেন্দ্রীয় নিষেধাজ্ঞাকে অমান্য করে ভর্তি পরীক্ষা চলাকালে নিজ বগির নামে টি-শার্ট বানিয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের শাটল ট্রেনের বগি ভিত্তিক সংগঠনের চারটি গ্রুপ।
এদের মধ্যে রয়েছে বাংলার মুখ (বিএম), ভার্সিটি এক্সপ্রেস (ভিএক্স), বিজয় এবং রেড সিগনাল (আর এস)। এসব টি-শার্ট গায়ে ছাত্রলীগের বিভিন্ন গ্রুপের কর্মীরা ক্যাম্পাসের মোড়ে মোড়ে অবস্থান ও সেবামূলক কার্যক্রমে অংশ নিতে দেখা যায়।
জানা যায়, ২০১৬ সালে প্রথমবারের মত চবিতে ছাত্রলীগের বগি ভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। গত ২২ অক্টোবর কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক আহসান হাবিব স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে দ্বিতীয় দফা বগির নামে চিকামারা, টি-শার্ট, প্ল্যাকার্ড এবং স্লোগান সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধের আদেশ দেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখায় শাটল ট্রেনের বগি ভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ থাকায় বিভিন্ন বগির নামে চিকামারা, টি-শার্ট, প্ল্যাকার্ড, স্লোগান সম্পূর্ণরুপে নিষিদ্ধ করা হলো।
চবি শাখা ছাত্রলীগের কোনো নেতাকর্মী এ আদেশ অমান্য করলে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কিন্তু কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সেই নিষেধাজ্ঞাকে তোয়াক্কা না করে বিভিন্ন গ্রুপের নামে টি-শার্ট করেছে চবি ছাত্রলীগের চারটি গ্রুপ।
বিজয়ের নেতা ও শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ইলিয়াস বলেন, বগি ভিত্তিক রাজনীতি ২০১৬ সালে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। নিষিদ্ধ কোনো বিষয়কে দ্বিতীয় বার নিষিদ্ধ করা মানে এটাকে প্রশ্নবিদ্ধ করা। বর্তমানে যারা সভাপতি-সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছেন উনারাও বগির রাজনীতি থেকে বের হতে পারেনি। এখনো সিএফসি, সিক্সটি নাইনের চিকা দেখা যাচ্ছে ক্যাম্পাসে।
কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নির্দেশনার ব্যাপারে তিনি বলেন, আমরা কেন্দ্রের নিয়মকে স্বাগত জানাই। আর টি-শার্ট গুলো আগের তৈরি করা ছিল যার কারনে তারা গায়ে দিছে।
এ বিষয়ে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় বলেন, বগি ভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধের নির্দেশনাটি দুই বছর আগের। এটি নতুন কিছু নয়। ছাত্রলীগের নির্দেশনাটি যারা মানছে না, তারা কিভাবে ছাত্রলীগকে ওন করে বা এর পেছনে কি উদ্দেশ্যে আছে তা আমাদের বোধগম্য নয়। আমরা যেহেতু একটি অভিযোগ পেয়েছি, ইউনিট ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি যাচাই-বাছাই করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেব।
শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেল বলেন, বগির নামে কেউ সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড করতে চাইলে সেটা পারবে তবে তারা এখানে বগির নামের সাথে ছাত্রলীগের লোগো ব্যবহার করেছে যেটা অপরাধ। আমরা কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাথে কথা বলে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিবো।
ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে কোন প্রক্রিয়া অনুসরণ করবেন- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যেহেতু সাবেকদের মধ্যে অনেকেই অছাত্র, বহিস্কৃত, পদবঞ্চিত, পদহীন এবং হত্যা মামলার আসামি তাই তাদের বিরুদ্ধে এমন ব্যবস্থা নেওয়া যাতে কোথায় গিয়ে ছাত্রলীগের সাবেক পদের পরিচয় দিতে না পারে।
শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপু বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে শাটলের বগি ভিত্তিক বিভিন্ন গ্রুপের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এরপরও যদি কেউ গ্রুপের নাম ব্যবহার করে তার দায়িত্ব ছাত্রলীগ নিবেনা। আমরা বগির অপ-রাজনীতি থেকে বের হয়ে আসতে চাই।
বাংলাধারা/এফএস/টিএম













