২৩ অক্টোবর ২০২৫

কেমন ছিল ঈদের দিনের বন্দর নগরী

বাংলাধারা প্রতিবেদন  »

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত বিজ্ঞপ্তিতে ‘ঈদগাহ বা খোলা জায়গার পরিবর্তে পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজের জামাত নিকটস্থ মসজিদে আদায় করার নির্দেশনা জারি করা হয়। এমনকি কাতারে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রেও সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করতে বলা হয়। সেই নিয়ম মেনেই চট্টগ্রামে উদযাপিত হয়েছে ঈদুল ফিতরের প্রথমদিন।

শুক্রবার (১৪ মে) সকাল ৮টায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ব্যবস্থাপনায় ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে দামপাড়া জমিয়তুল ফালাহ্ মসজিদে।  

ঈদ জামাত শেষে খুতবা পেশ করা হয়। এরপর দোয়া ও মোনাজাতে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে দেশ-জাতিকে রক্ষায় মহান আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা করার পাশাপাশি করোনায় আক্রান্ত ও মৃতদের জন্য দোয়া করা হয়েছে।  দোয়া করা হয়েছে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইরত চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশসহ সম্মুখসারির যোদ্ধাদের জন্য।

আজ ঈদের দিন সকালে হঠাৎ শুরু হওয়া বৃষ্টিতে দুর্ভোগে পড়েন নগরবাসী। এসময়ে নগরের নিম্নাঞ্চলে জমে যায় পানি। ঈদের আনন্দে শামিল হতে রাস্তায় আসা কিশোর-যুবক, বয়স্করা ভিজে একাকার হয়ে যান। জায়নামাজ মাথায় দিয়েও হয়নি শেষ রক্ষা।

বৃষ্টিতে আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক এলাকা, বহদ্দারহাট, মুরাদপুর, ষোলশহর দুই নম্বর গেইট, চকবাজার, খাতুনগঞ্জসহ অধিকাংশ নিম্নাঞ্চলের সড়ক ও অলিগলিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এসব এলাকার নিচতলার বাসা-বাড়ি ও দোকানপাটে পানি ঢুকে গেছে। কোনো কোনো সড়কে রিকশাভ্যানে যাত্রী পরিবহন করতে দেখা গেছে। শুক্রবার হওয়ায় জুমার নামাজ আদায় করতে মসজিদে যেতে বিড়ম্বনায় পড়েছেন মুসল্লিরা।

অন্যদিকে, ঈদের দিনেও থেমে নেই করোনার প্রভাব। এদিন চট্টগ্রামে নতুন করে শনাক্ত হয়েছে ১০৩ জন। এসময়ে করোনায় নগরে মারা গেছেন ১ জন। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে নগরে ৭১ জন এবং উপজেলায় ৩২ জন। চট্টগ্রামের ৮টি সরকারি-বেসরকারি ল্যাবে ১২৬০টি নমুনা পরীক্ষা করে নতুন রোগীদের শনাক্ত করা হয়েছে।

অপরদিকে, করোনার সংক্রমণ এড়াতে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের বন্দিরা নিজ নিজ সেলে ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেছেন। পেয়েছেন স্বজনদের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ ও উন্নতমানের খাবার।

ভোর ৭টায় মুড়ি আর পায়েস দেওয়া হয় প্রত্যেক কারাবন্দিকে। দুপুরে সাদা ভাতের সঙ্গে ডাল, রুই মাছ ও আলুর দম দেওয়া হয়। রাতের আয়োজনে রয়েছে পোলাওয়ের সঙ্গে গরুর মাংস, খাসির মাংস, ডিম, মিষ্টান্ন ও পান-সুপারি। এ খাবারের অর্থ কারাগারের নিজস্ব তহবিল থেকে যোগান দেওয়া হচ্ছে।

ঈদের দিনেও দেশের প্রধান সমুদ্র বন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম ছিলো সচল। দেশের সাপ্লাই চেইন ঠিক রাখতে ঈদের ছুটিতেও চালু রয়েছে চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রম। এদিন সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত কনটেইনার স্থানান্তর, সংরক্ষণ, ডেলিভারি, কনটেইনার ও কার্গো হ্যান্ডলিংসহ সব অপারেশনাল কার্যক্রম চলেছে।

বাংলাধারা/এফএস/এআর

আরও পড়ুন