ইয়াসির রাফা »
দেশের চলমান করোনা পরিস্থিতিতে যেখানে অধিকাংশ খামারি নানান সংকটের কারণে হতাশ সেখানে প্রতিবন্ধকতা দূর করেই ব্যবসায় সফলতা অর্জন করছে চাটগাঁইয়া এগ্রো। খামার ব্যবসায় সফলতার সাথে এগিয়ে যাচ্ছে তারা। প্রতি বছরের মত এবারো কোরবান উপলক্ষে বিভিন্ন ধরনের গরুর সরবরাহ রয়েছে খামারটিতে।
চট্টগ্রামের কর্নেলহাট উত্তর কাট্টলী রেললাইনের পাশে গড়ে উঠা এই খামারে রয়েছে দেড় শতাধিক উন্নত জাতের গরু। শুধুমাত্র মুনাফা অর্জনই তাদের লক্ষ্য নয়, মানের ব্যপারে চাটগাঁইয়া এগ্রো শুরু থেকেই ছিল আপোষহীন।
এ বিষয়ে খামারের উদ্যোক্তা আবদুস সবুর লিটন জানান, এবার মানুষের আয়-রোজগার কম। তাই কোরবানির বাজেটও কম। তবে এবার দেশে চাহিদার তুলনায় অনেক উদ্বৃত্ত গরু রয়েছে। তাই দাম কমিয়ে হলেও সবাই চাইবেন বিক্রি শেষ করতে। আর আমাদের কোরবান হচ্ছে মহান আল্লাহ তা’আলার সন্তুষ্টির জন্য। এজন্য আমরা এই ব্যবসা শুধু মুনাফা অর্জনের জন্য করি না। মানুষ যেন ন্যায্য দামে উন্নত জাতের গরু ক্রয় করতে পারেন এটিই চাটগাঁইয়া এগ্রোর মূল লক্ষ্য।

কোরবান আসলে যেভাবে ঝুঁকিপূর্ণ প্রক্রিয়ায় গরু মোটাতাজাকরনে ব্যস্ত হয়ে যায় অনেক খামারি, সেখানে সম্পূর্ণ স্বাস্থ্যসম্মতভাবে বিজ্ঞান সম্মত উপায়ে গরু মোটাতাজাকরন করে যাচ্ছে খামারটি। তাদের এই সফলতার পেছনে রয়েছে উদ্যোক্তাদের কঠোর শ্রম ও মেধা। অনলাইনে খোঁজ নিয়ে চাটগাঁইয়া এগ্রোর গরুর সরবরাহ দেখতে তাই দূর-দুরান্ত থেকে অনেকেই আসছে এখানে।
আফসার হক নামের আগত এক ক্রেতা জানান, বিভিন্নজনের কাছে চাটগাঁইয়া এগ্রো’র ব্যাপারে প্রশংসা শুনেই এখানে গরু দেখতে এসেছি। এসেও বেশ স্বাস্থ্যসম্মত ব্যবস্থা দেখে ভাল লেগেছে। ইনশাল্লাহ সবকিছু মিললে এখান থেকেই গরু নিব।
জানা যায়, সবশ্রেনীর মানুষের চাহিদার কথা মাথায় রেখে কোরবানির পশুর ব্যবস্থা রাখা হয়েছে এখানে। খামারগুলোতে সারা বছর গরু বিক্রি হলেও কোরবানির বিক্রি শুরু হয় রোজার ঈদের ১৫ থেকে ২০ দিন পর থেকেই। ঈদুল আজহার ১৫ থেকে ২০ দিন আগে প্রায় ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ পশু বিক্রি হয়ে যায়।

সরকারের সহায়তা পেলে দেশের খামার ব্যবসায় যেভাবে সফলতার সাথে এগিয়ে যাচ্ছে চাটগাঁইয়া এগ্রো, তাতে দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে খামারটি এমনটাই প্রত্যাশা উদ্যেক্তাদের। খামারের উদ্যোক্তারা আগামিতে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আরও উন্নত জাতের গরুর সরবরাহ নিশ্চিতে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।
উদ্যোক্তারা আরও জানান, কোরবানীর সময় সাধারণত পাইকাররা বেশী লাভের আশায় গরু এনে বিশেষ ধরনের ইনজেকশন দিয়ে গরুকে মোটাজাতকরণ করে বিক্রি করে থাকে। এতে করে ক্রেতারা প্রতারিত হয়। কিন্তু চাটগাঁইয়া এগ্রো কোরবানীর ঈদে যাতে করে ক্রেতাদের প্রতারিত না হতে হয় এ কারণেই তারা সুষম খাদ্য দিয়ে গরু পালন করছে। গো খাবারে তৃণলতার ব্যবহার বাড়ানো হয়েছে। ফলে এ খামারের গরুর মাংসের স্বাদ ও পুষ্টিগুণ তুলনামূলক ভালো।
ভিডিও দেখতে নিচে ক্লিক করুন …
চাটগাঁইয়া এগ্রো সাথে যোগাযোগের নম্বর- ০১৬৭১৬৯১২২১ (রিফাত)
বাংলাধারা/এফএ/টিএম/ইরা













