বাংলাধারা ডেস্ক »
আগামী ১২ সেপ্টেম্বর থেকে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।
তবে শুরুর দিকে সপ্তাহে একদিনই শিক্ষার্থীদেরকে শারীরিকভাবে উপস্থিত থেকে ক্লাস করানোর কথা ভাবছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। বিষয়টি এখনো চূড়ান্ত না হলেও শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন।
শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ইমারজেন্সি কেয়ার আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
নওফেল বলেন, ‘দীর্ঘদিন করোনার কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের মনের ওপর একটি প্রভাব পড়েছে। শিক্ষা খাতে কিন্তু বেশ ক্ষতি হয়েছে। আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় অনলাইনে অফলাইনে টেলিভিশনে সর্বত্র কিন্তু শিক্ষা কার্যক্রম চালু রাখার জন্য চেষ্টা করেছি। মাধ্যমিক নিম্ন মাধ্যমিক, প্রাথমিক,উচ্চ শিক্ষাসহ সকল ক্ষেত্রে শিক্ষা কার্যক্রম চালু রাখার চেষ্টা করেছি। কিন্তু সেটা কিন্ত যথেষ্ট নয়। তাই শারীরিকভাবে উপস্থিত থেকে যে তারিখ দিয়েছেন আমাদের মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী তার পর থেকে ক্লাস শুরু করতে পারব। তবে প্রথামিকভাবে আমরা সপ্তাহে একদিন করে ক্লাস করার চিন্তা করছি। তবে সেটি পরিবর্তন হতে পারে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আরও হয়তো বা বেশি দিন পারব শিক্ষার্থীদের আনতে। এই মুহূর্তে আমরা চিন্তা করছি যে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখা। যেটি এখন বেশ নিয়ন্ত্রণে আছে। আমরা আরেকটি বিষয় চিন্তা করছি, এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষাটা এই সংক্ষিত সিলেবাসের মাধ্যমে শারীরিকভাবে নেওয়ার যে প্রচেষ্টা সেটা অব্যাহত থাকবে। সেটাই আমাদের আপাতত লক্ষ্য। আর অ্যসাইন্টমেন্ট কার্যক্রম তা স্বাভাবিকভাবেই চলবে। আমরা আগামীতে নতুন সিলেবাস প্রণয়নের যে কাজ চলছে, রূপরেখা দাঁড় করিয়েছি তা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন পাওয়ার পর তা প্রকাশ করতে পারব।’
এর আগে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানান, আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে দেশের সব মেডিকেল কলেজ খুলবে।
সম্প্রতি সচিব সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দ্রুত সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার নির্দেশ দেন।
বাংলাধারা/এফএস/এআই













