২৩ অক্টোবর ২০২৫

খাগড়াছড়িতে এনসিপি’র নেতা-নেত্রীর পাল্টাপাল্টি জিডি

খাগড়াছড়িতে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শীর্ষ নেতাদের মধ্যে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব চরমে উঠেছে। এর জেরে কেন্দ্রীয় ও জেলা পর্যায়ের দুই নেতা থানায় পাল্টাপাল্টি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। উভয় পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে নিজেদের নিরাপত্তাহীন বলে দাবি করেছেন।

জানা গেছে, জিডির দুই পক্ষ হলেন—এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলীয় সংগঠক ও খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য মনজিলা সুলতানা ঝুমা এবং গুইমারা উপজেলা শাখার প্রধান সমন্বয়ক ও জেলা শাখার যুগ্ম সমন্বয়ক মো. রাসেল শেখ।

গত ১২ জুলাই খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে মনজিলা সুলতানা ঝুমার বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ আনেন রাসেল শেখ। তিনি দাবি করেন, এনসিপির নাম ব্যবহার করে পার্বত্য জেলা পরিষদের বিভিন্ন প্রকল্প ও বাজেট থেকে কোটি টাকারও বেশি অর্থ আত্মসাৎ করেছেন ঝুমা। অভিযোগের মধ্যে রয়েছে গুইমারা বাজারের ইজারা লভ্যাংশ, এক কোটি ৬০ লাখ টাকার কাজ এবং ১৫ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য আত্মসাৎ।

এ ঘটনায় সেদিন রাতেই খাগড়াছড়ি সদর থানায় জিডি করেন মনজিলা সুলতানা ঝুমা। জিডিতে তিনি রাসেল শেখকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘কন্যা ভুল করিস না… ধীরে ধীরে বিশ্বাস হারিয়ে ফেলছি… বয়কট’ শিরোনামে পোস্ট দেওয়ার অভিযোগ তোলেন। সেই পোস্টে নেতিবাচক মন্তব্য এবং তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ফেসবুক আইডি থেকে মানহানিকর, কুরুচিপূর্ণ ও ভিত্তিহীন বক্তব্য ছড়ানোর কথাও উল্লেখ করেন তিনি। এছাড়া সংবাদ সম্মেলনে রাসেল তার ও সংগঠনের বিরুদ্ধে অপমানজনক বক্তব্য দিয়েছেন বলেও জিডিতে অভিযোগ করা হয়।

অন্যদিকে, সংবাদ সম্মেলনের পর নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন দাবি করে পরদিন ১৩ জুলাই পাল্টা জিডি করেন মো. রাসেল শেখ। জিডিতে তিনি উল্লেখ করেন, সংবাদ সম্মেলনের পর তাকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে এবং তার ও সহকর্মীদের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন প্রচারণা চালানো হচ্ছে।

খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল বাতেন মৃধা বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘দুই পক্ষের সাধারণ ডায়েরি গ্রহণ করা হয়েছে। তদন্ত করে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এআরই/বাংলাধারা

আরও পড়ুন