বাংলাধারা প্রতিবেদন »
পিয়াজের বাজার স্থিতিশীল রাখতে চট্টগ্রাম নগরীর খাতুনগঞ্জে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা বিভিন্ন অনিয়ম থাকায় ১০ আড়তদারকে অর্থদণ্ড করা হয়েছে।
রোববার (৬ সেপ্টেম্বর) বেলা ১২ টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শিরিন আক্তার ও উমর ফারুকের নেতৃত্বে নগরী খাতুন গঞ্জ বাজারে এই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকালে বিভিন্ন অনিয়ম থাকায় ১০ আড়তদারকে বিভিন্ন অংকের অর্থদণ্ড করা হয়। ক্রয় ইনভয়েস না রেখে নিজেদের মতো মূল্য বৃদ্ধি করায় মেসার্স বরকত ভান্ডারকে ১০০০০/- ( দশ হাজার) টাকা, মেসার্স গোপাল বানিজ্য ভান্ডারকে ১০,০০০/- (দশ হাজার) টাকা, মেসার্স হাজী মহিউদ্দিন সওদাগরকে ১০,০০০/- (দশ হাজার) টাকা, মেসার্স সেকান্দার এন্ড সন্সকে ১০,০০০/- (দশ হাজার) টাকা, মোহাম্মাদীয়া বানিজ্যালয়কে ১০,০০০/- (দশ হাজার) টাকা, মোহাম্মদ জালাল উদ্দীনকে ১০,০০০/- (দশ হাজার) টাকা, গ্রামীণ বাণিজ্যালয়কে ৫,০০০/- (পাঁচ হাজার) টাকা, আরাফাত ট্রেডার্সকে ৫,০০০/- (পাঁচ হাজার) টাকা, মেসার্স বাগদারিক কর্পোরেশনকে ৫,০০০/- (পাঁচ হাজার) টাকা ও শাহাদাত ট্রেডার্সকে ২,০০০ (দুই হাজার) টাকা অর্থদণ্ড করা হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক বলেন, গত কয়েকদিন ধরে দেখা যায় বাজারে পিয়াজের দাম বৃদ্ধি পেয়ে প্রতি কেজি পিয়াজে ২০ টাকার মতো বৃদ্ধি পেয়েছে।
‘খাতুনগঞ্জ বাজারে পিয়াজের আড়তে সরেজমিনে দেখা যায় আড়তদাররা ব্যাবসায়ীক কাগজপত্র নিজেদের কাছে না রেখে আমদানিকারকের ফোন কলে দাম নির্ধারণ করে পিয়াজ বিক্রি করার ফলে অতিরিক্ত মুনাফা করতে কেজি প্রতি প্রায় ২০ টাকা লাভ করছে।’
তিনি বলেন, আড়ত অনুযায়ী তাদের দামেও ভিন্নতা পরিলক্ষিত হয়। প্রত্যেকেই এক বাক্যে বলে আমদানিকারকের নির্দেশনা অনুযায়ী তারা দাম নির্ধারণ করে এবং তারা কমিশনে ব্যবসা করে।যার ফলে দামের ব্যাপারেও নির্দিষ্টতা নেই।
ম্যাজিস্ট্রেট আরও বলেন, দামের লাগাম টানতে আজকে অভিযান পরিচালনা করেছি।ভবিষ্যতে যদি অসাধুরা পিয়াজের দাম বৃদ্ধির পায়তারা করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যাবস্থা নেয়া হবে।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শিরিন আক্তার বলেন, হঠাৎ করে পাইকারি বাজারে পেয়াজের দাম বৃদ্ধির ফলে খুচরা বাজারে এর প্রভাব পড়ছে।যার ফলে দুইদিক থেকে পেয়াজের বাজার অস্থিতিশীল হচ্ছে।আমরা পাইকারি ও খুচরা বাজারে যাতে পেয়াজের দাম বেশি না নিতে পারে এজন্যে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হবে।
বাংলাধারা/এফএস/এএ













