২৩ অক্টোবর ২০২৫

খাবারের সন্ধানে লোকালয়ে ঢুকেছে বন্য হাতির পাল, এলাকায় আতংক

কক্সবাজারের রামুতে খাবারের সন্ধানে লোকালয়ে ঢুকে পড়েছে বন্যহাতির একটি দল। বুধবার (৬ ডিসেম্বর) মধ্যরাত হতে উপজেলার কাউয়ারখোপ ইউনিয়নের ৮নম্বর ওয়ার্ড লট উখিয়ার ঘোনার নাপিতারঘোনা এলাকায় হাতির দলটি ঢুকে এলাকার আশপাশের কলাবাগান ও অন্যান্য হাতির খাবারগুলো সাবাড় করছে। ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা হওয়ায় হাতির পালের অবস্থান বুঝতে না পেয়ে সকালে অনেকে হাতির সামনে পড়ে। এসময় পালাতে গিয়ে আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় আতংক ছড়িয়ে পড়ে।

বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) দিনের বেলাতেও ওই এলাকার ঝোপঝাড়ে রয়েছে হাতির পালটির অবস্থান। মাঝে মাঝে তারা এদিক-সেদিক চলাফেরা করছে-যা স্থির এবং ভিডিও চিত্রে ধারণ করছেন উৎসুক এলাকাবাসী।

স্থানীয় এলাকাবাসী আল মামুন নামে এক যুবক জানান, লোকালয়ে আসা হাতিরপালে ৬টি হাতি রয়েছে। এদের মাঝে দুটি সাবক আর চারটি বয়স্ক হাতি। কিছু সময় পর পর হাতিগুলো এদিক-সেদিক ছুটছে। তাদের চলাচলে ভয়ে পালাতে গিয়ে দুয়েকজন আহতও হয়েছেন। হাতিগুলোর তান্ডবে অনেক ফসলি ও ধানক্ষেত নষ্ট হয়েছে।

এলাকার সাবেক মেম্বার মোহাম্মদ হাবিব জানান, উখিয়ারঘোনার পাশ্ববর্তী পাহাড়ি এলাকা হওয়ায় প্রায় সময়ই পাশের পাহাড় থেকে খাবারের সন্ধানে লোকালয়ে ঢুকে পড়ে হাতিরপাল। বুধবার গভীর রাতে হাতির পাল এলাকায় ঢুকে পড়ে। হাতিরপালটি এলাকায় করা কলাবাগান, নরম শস্যগুলো সাবাড় করছে। দিনেও ওই এলাকায় অবস্থান করছে হাতিগুলো।

এদিকে, খবর পেয়ে সকালে উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ, বিজিবি ও বন বিভাগের লোকজন ঘটনাস্থলে যায়। তারা হাতির দলটিকে নিরাপদে পাহাড়ি অঞ্চলে ফিরে যেতে যৌথ প্রচেষ্টা চালাচ্ছিলেন।

রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফাহমিদা মুস্তফা স্বর্ণা বলেন, খবর পেয়ে সকালে আমরা ঘটনাস্থলে যায়। পাহাড়ের কিনারে ঝোপঝাড়ের ভিতর অবস্থান করা হাতিরপালে ৫-৬টি হাতি দেখা দিলেছে। অবস্থা দেখে মনে হলো খাবারের সন্ধানে হাতিগুলো লোকালয়ে প্রবেশ করেছে। ঘনবসতি হওয়ায় অনেকে জানতেন না হাতি এসেছে। সকালে হাতিরপালের সামনে পড়ে পালাতে গিয়ে নারীসহ কয়েকজন আহত হয়েছেন। তারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. আনোয়ার হোসেন সরকার বলেন, খবর পেয়ে বনকর্মী ও এলিপেন্ট রেসকিউ টিমের সদস্যরা ঘটনাস্থলে যায়। অসচেতন ও উৎসুক জনতার ভীড় বেশী হওয়ায় তাদের নানা ভাবে শব্দ করায় হাতিগুলো উত্তেজিত হয়ে পড়েছে। হাতিগুলো লোকালয় থেকে পাহাড়ে ফেরাতে প্রচেষ্টা চলছে। উপজেলা প্রশাসন, র‍্যাব, বিজিবি বনবিভাগকে সহযোগিতা দিচ্ছে।

আরও পড়ুন