মাসুদ ফরহান অভি »
মত-প্রকাশের স্বাধীনতা, স্বাধীন সংবাদ মাধ্যম, তথ্যের অবাধ স্বাধীনতাসহ বেশকিছু বিষয় সাংবাদিক ও সাংবাদিকতার মৌলিক দাবি হিসেবে আলোচিত হয়েছে দীর্ঘকাল ধরে। এই দাবিগুলোর সঙ্গে কোনো সরকার বা সরকার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির সঙ্গে সাংবাদিকদের দ্বিমত নেই। কিন্তু এগুলোর বাস্তবায়ন নিয়ে আছে নানা জটিল সমীকরণ।
আবার মত-প্রকাশের স্বাধীনতা, স্বাধীন সংবাদ মাধ্যম, তথ্যের অবাধ স্বাধীনতা- বিষয়গুলো শুধুমাত্র সাংবাদিকেরই চর্চা করার বিষয় নয়। প্রত্যকে নাগরিকেরই অধিকার।
মত-প্রকাশের স্বাধীনতার সঙ্গে স্বাধীনভাবে সমালোচনার অধিকারের কথাও সংশ্লিষ্ট। আপাত দৃষ্টিতে প্রশ্নটা হল, এই সমালোচনার ‘একক’ দাবিদার কি শুধু সাংবাদিক বা গণমাধ্যম? যদি মত-প্রকাশের স্বাধীনতা তথা সমালোচনার অধিকার, স্বাধীন সংবাদ মাধ্যম, তথ্যের অবাধ স্বাধীনতা বিষয়গুলো প্রত্যেক নাগরিকের অধিকার হয়ে থাকে তাহলে সাংবাদিক কিংবা গণমাধ্যমের সমালোচনাও কি করা যাবে না?
সাংবাদিক কিংবা গণমাধ্যমের ভুলত্রুটি, অপরাধ কিংবা সাংবাদিক বা গণমাধ্যমের দেওয়া তথ্যের সঙ্গে কি কোনো নাগরিক দ্বিমত পোষণ করতে পারবে না? সমালোচনা করার অধিকারও নাগরিকের অধিকার নয়?
একটি বিষয়কে সামনে রেখেই এই প্রশ্নগুলোর অবতারণা।
প্রথম আলোর সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে ন্যাক্কারজনকভাবে হেনস্থা, মামলা দিয়ে জেলে ভরার মধ্য দিয়ে এই রাষ্ট্রের কালো অধ্যায়ের খাতায় নতুন পাতা সৃষ্টি করা হয়েছে। এটি রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে থাকা মন্ত্রী, আমলাদের ভুল কিংবা অপরাধ নাকি সাংবাদিক নেতৃত্বের যুগের পর যুগ ধরে রাষ্ট্র যন্ত্রের পিঠে তেল-তোষামোদির ফলাফল, তা নিয়ে ঢের আলোচনা হতে পারে। কিন্তু যেকোনো নাগরিক মাত্রই খালি চোখে এক বাক্যে বলে দিবে এটি অন্যায়। কারণ যেকোনো উপায়ে তথ্য সংগ্রহের নেশায় বুদ থাকে একজন সাংবাদিক। জনগণের কাছে ওই তথ্য তুলে ধরতে পারাই যে সাংবাদিকতা সেটি দুনিয়াব্যাপী তত্ত্বগতভাবেও স্বীকৃত। এখন যে আইনে, যে প্রক্রিয়ায় একজন সাংবাদিককে জেলে ভরা হল তার সামগ্রিক গতিবিধি এই রাষ্ট্র আবার শত বছর আগের বৃটিশ শাসন ব্যবস্থাকে স্বীকৃতি দিয়ে দিচ্ছে কি-না সে আশংকাও করছে বিশ্লেষক, গবেষক কিংবা সচেতন নাগরিকরা। এসব কথা অবশ্য সাংবাদিকের, সাংবাদিকতার শিক্ষক, গনমাধ্যম গবেষক কিংবা গণমাধ্যম ও গণতন্ত্র সচেতন নাগরিকের।
এখন আলোচনা হচ্ছে, সাংবাদিকরা কি করতে পারেন কিংবা কি করতে পারেন না, সাংবাদিকতায় তথ্যের অবাধ প্রবাহের প্রক্রিয়া কত জটিল, সাংবাদিকের তথ্য সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও তথ্য প্রকাশে গণমাধ্যমের দায় নিয়ে।
এই আলোচনায় যেমন সাংবাদিকরা অংশ নিয়েছে যার যার প্লাটফর্মে, তেমনি সাধারণ নাগরিক, সচেতন নাগরিক, আমলা, সরকার পরিচালনার দায়িত্বে থাকা কেউ কেউও এই আলোচনায় অংশ নিচ্ছে।
আমার প্রশ্ন হল, সাধারণ নাগরিক, সচেতন নাগরিক, আমলা, সরকার পরিচালনার দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা যদি সাংবাদিক কিংনা গণমাধ্যমের সমালোচনা করে সেক্ষেত্রে সাংবাদিকের করণীয় কি?
আলোচনায় আমি এই পক্ষদের ‘সাধারণ নাগরিক’ হিসেবে সংজ্ঞায়িত করছি। যদি এই নাগরিকরা গণমাধ্যমের সমালোচনা সহ্য করতে পারে তাহলে সাংবাদিকরা ‘খুশি’ থাকে। এই সমালোচনা আবার দুইভাবে হতে পারে। এক. সরল, স্বাভাবিক, গ্রহনযোগ্য শব্দ প্রয়োগের মাধ্যমে। দুই. অস্বাভাবিক, অগ্রহণযোগ্য, অপ্রাসঙ্গিক, অপ্রত্যাশিত, কদর্যপূর্ণ, সমাজ স্বীকৃত শালীনতার মানদণ্ডে প্রশ্নবিদ্ধ বা বালখিল্যতা প্রকাশ পায় এমন শব্দ বা বাক্য প্রকাশের মাধ্যমে।
এখন কোনো প্লাটফর্ম ব্যবহার করে যদি এই ‘সাধারণ নাগরিকরা’ দুইটি পদ্ধতির যেকোনো একটি বা দুইটি প্রয়োগ করে সমালোচনা করলে সাংবাদিক বা গণমাধ্যমের করনীয় কি হবে?
এক্ষেত্রে মত-প্রকাশের স্বাধীনতা, স্বাধীন সংবাদ মাধ্যম, তথ্যের অবাধ স্বাধীনতার দাবিতে সোচ্চার সাংবাদিকের প্রতিক্রিয়ায় ভাষা, বাক্য, শব্দের প্রয়োগ কেমন হবে সেটি কিন্তু মুখ্য।
মত-প্রকাশের স্বাধীনতার দাবিতে সোচ্চার কিছু কিছু সাংবাদিকের রোজিনা ইসলাম ইস্যুতে প্রতিবাদ করতে গিয়ে দেখছি শব্দ তথা ভাষার প্রয়োগে বালখিল্যতা প্রকাশ পাচ্ছে। যেমন শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরীর সমালোচনা করতে গিয়ে তারা শিক্ষা উপমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চরিত্রহনন করছেন। তাঁর প্রয়াত পিতা এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীকেও টেনে আনছেন।
অথচ আমাদের বন্ধু, অগ্রজ সাংবাদিকদের দাবিই হল স্বাধীন মত প্রকাশ, তথ্যের অবাধ প্রবাহ। রাজনীতিবিদ হিসেবে, সরকারের শিক্ষা উপমন্ত্রী তাঁর সরকারের সিদ্ধান্তের স্বপক্ষে মতামত তুলে ধরতেই পারেন। এই মতামতের উপর মত-দ্বিমতও সাংবাদিকরা করতে পারে। সেক্ষেত্রে শিষ্টাচারের বিষয়টি সাংবাদিকদের মাথায় রাখা জরুরি। নিশ্চয় কোনো ইস্যুতে কারও সমালোচনা করতে গেলেই তার বাবাকে টেনে এনে অপ্রত্যাশিত শব্দ প্রয়োগ সচেতন ও শিক্ষিত নাগরিকদের কাছে কাম্য হতে পারে না।
শিক্ষা উপমন্ত্রীর তার মতামত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানানো পর দেখা যাচ্ছে, এ ইস্যুতে অশালীন, কদর্যপূর্ণ, সমাজ স্বীকৃত শালীনতার মানদণ্ডে প্রশ্নবিদ্ধ শব্দ জুড়ে দিয়ে তাকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করা হচ্ছে। এমনকি ‘চোর’ সম্বোধনও করা হয়েছে তাকে কোনো কোনো পোস্টে। কি অদ্ভুত!
সাংবাদিকদের সমালোচনা সহ্য করার মিনিমাম মানসিক সক্ষমতা থাকাও তাদের যোগ্যতার মাপকাঠি।
আমি শিক্ষা উপমন্ত্রীর দেওয়া পোস্টে দেখলাম, তিনি তথ্য অধিকার আইন কার্যকরের পক্ষে মত দিলেন। সরকারি নথিপত্রের ছবি বেআইনীভাবে তোলার বিষয়ে নেতিবাচক ধারণা দিলেন। তিনি গণমাধ্যমের টেকসই ভুমিকার অবতারণা করলেন।
একইসঙ্গে তিনি করপোরেট প্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন গণমাধ্যমগুলোর ‘বাড়াবাড়ি’র বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলেন। শিক্ষা উপমন্ত্রী আরও স্পষ্ট করলেন, করপোরেট প্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন গণমাধ্যমগুলোর মালিকদের ‘কর্ম, অপকর্ম’ অনেক সময় যে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যম এড়িয়ে যায় সেদিকটাও।
একজন দায়িত্বশীল উপমন্ত্রী হিসেবে, একজন নাগরিক হিসেবে তিনি তার দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেছেন এখানে। এসব নিয়ে তর্ক, বিতর্ক, মত, দ্বিমত, সমালোচনা, আলোচনা হতেই পারে এবং হওয়াটাই বাঞ্চনীয়। রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে থাকা তরুণ রাজনীতিক হিসেবে তিনি সুশাসন চিন্তা করতেই পারেন তাঁর মত করে।
গণমাধ্যমের সাম্প্রতিক ইস্যুতে যে নানামুখী বৈচিত্র তা দেখে একজন নাগরিক হিসেবে তিনি বলতেই পারেন, ‘গণমাধ্যমে যা প্রকাশিত হয় তা সত্যই বলেই ধরে নিতে হবে তা কিন্তু নয়।’ এ কথার পক্ষে হাজারটা যুক্তি, তথ্য, প্রমাণ কিন্তু হাজির করা সম্ভব। গণমাধ্যম এই আস্থা কিন্তু হারিয়েছে বিভিন্ন ইস্যুতে।
তিনি লিখেছেন, ‘আমরা চাই সরকার, প্রশাসন, রাজনৈতিক দলের অনিয়ম, দুর্নীতি, যেমনি স্বচ্ছতার প্রয়োজনে গণমাধ্যমের মাধ্যমে প্রকাশিত হবে, তেমনি গণমাধ্যমের মালিকপক্ষ করপোরেট গ্রুপ সমূহ, কর্তব্যরত ভাই-বোন এদেরও সবার জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠিত হবে। এরাও সর্বসাধারণের স্বার্থে প্রাতিষ্ঠানিক তথ্য প্রাপ্তি, কীভাবে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা যায় তা সাধারণের কাছে তুলে ধরবেন। আমরা জানি, দুর্নীতি বাংলাদেশের একটি বিশাল চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জে গণমাধ্যমের একটি টেকসই ভূমিকা দরকার। শুধুই সেন্সেশন দিয়ে টেকসই ভূমিকা তৈরি হবে না’।
একজন রাষ্ট্র পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত নাগরিক হিসেবে ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরীর এই চিন্তাকে সাধুবাদ জানানোর যথেষ্ট কারণ রয়েছে। গণমাধ্যমে একটি ইস্যুতে নানান আঙ্গিকে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রকাশ করার নজির এই দেশে আছে। আবার উপমন্ত্রী স্পষ্ট করেই প্রত্যাশা করেন, সরকার, প্রশাসন, রাজনৈতিক দলের অনিয়ম, দুর্নীতি স্বচ্ছতার প্রয়োজনে গণমাধ্যমের মাধ্যমে প্রকাশিত হবে।
আবার বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রকাশ করে জনগণের তথ্যের অধিকার ভূলুণ্ঠিত করার অধিকার গণমাধ্যমের নেই তাও কিন্তু শিক্ষা উপমন্ত্রী তার বক্তব্যে ইঙ্গিত দিয়েছেন। তিনি বলছেন, ‘গণমাধ্যমের মালিকপক্ষ করপোরেট গ্রুপ সমূহ, কর্তব্যরত ভাই-বোন এদেরও সবার জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠিত হওয়া প্রয়োজন। এরাও সর্বসাধারণের স্বার্থে প্রাতিষ্ঠানিক তথ্য প্রাপ্তি, কীভাবে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা যায় তা সাধারণের কাছে তুলে ধরবেন।’
তাঁর এই বক্তব্যগুলো করপোরেট মালিকানাধীন গণমাধ্যমের ‘চারিত্রিক’ দিকগুলো নিয়ে সচেতন নাগরিকদের যে আশংকা সেগুলোরই প্রতিফলন।
সাম্প্রতিক সময়ে ও সাম্প্রতিক অতীতে এই গণমাধ্যমগুলো কি তার গতিপথ হারায়নি?
মালিকপক্ষের ‘কর্ম অপকর্ম’ ঢেকে রাখা কিংবা উদ্দেশ্যমূলক প্রপাগাণ্ডা ছড়ায়নি? গণমাধ্যম কি নাগরিকের কাছে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে গ্রহনযোগ্যতা হারায়নি? মালিকের স্বার্থে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করার নজির কি বাংলাদেশের গণমাধ্যম দেখায়নি? গণমাধ্যমের ‘মালিকমুখী’ আচরণের কারণে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম কি বড় বড় ইস্যুতে গণমাধ্যমকে ছাপিয়ে যায়নি?
শিক্ষা উপমন্ত্রী গতকালই একট পোস্টে স্বীকার করেছেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কিংবা যেকোনো মন্ত্রনালয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ জনগণের থাকতেই পারে। তিনি বলেছেন, তথ্য অধিকার আইনে তথ্য চাইলে সহজেই যে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না। এ বিষয়ে সাংবাদিকদেরই কার্যকর ভূমিকা রাখতে তিনি আহবান জানিয়েছেন। এই পদ্ধতিকে তিনি তথ্য সংগ্রহের গ্রহনযোগ্য পদ্ধতি হিসেবে দাবি করেছেন। মত-প্রকাশের স্বাধীনতার দৃষ্টিভঙ্গি থেকে তিনি কি অমুলক কিছু বলেছেন?
একটি পত্রিকা দিনে একটি করে সরকারের কাজগুলো নিয়ে নেতিবাচক সংবাদকে তিনি এজেন্ডা ভিত্তিক সাংবাদিকতা বলেছেন। যেহেতু শিক্ষা উপমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকা ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী সরকারেরই অংশ, সেহেতু তিনি এই বিষয়টির সমালোচনা করতেই পারেন।
সাংবাদিক হিসেবে কেউ এই সমালোচনাকে কেন মেনে না নিয়ে তাকে ব্যক্তিগতভাবে তাকে আক্রমণ করবেন? তাঁর প্রয়াত পিতা বীর চট্টলার অবিসংবাদিত নেতা এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীকে টেনে আনবেন?
যুক্তিখণ্ডনের মাধ্যমে এটি যে এজেন্ডা নয়, বরং সঠিক সাংবাদিকতা তা কিন্তু সাংবাদিকরা তুলে ধরতে পারে সাংবাদিকতার একাডেমিক পারস্পেক্টিভ থেকে।
সাংবাদিকের কাজই সমালোচনা দাঁড় করানো। আবার নাগরিকের কাজ বিচার-বিশ্লেষণ করে সত্য অনুধাবন করা। সেক্ষেত্রে গণমাধ্যমের দায়িত্বশীলতা সবচেয়ে বেশি জরুরি। গণমাধ্যম দ্বিধাগ্রস্ত হলে, গণমাধ্যম কিংবা সাংবাদিক মিথ্যা গল্প লিখে মালিকের স্বার্থ রক্ষা করলে, একেকটি গণমাধ্যম একটি ইস্যুতে ভিন্ন রকম তথ্য দিলে সমালোচনা গণমাধ্যমেরও হতে পারে। আবার সরকার বা রাষ্ট্র, যেকোনো পেশাজীবি তার অবস্থান থেকে গণমাধ্যমের বিরুদ্ধেও স্বাধীন মত প্রকাশ করতে পারে। গণমাধ্যম কিংবা সাংবাদিক মত-প্রকাশের অধিকারটি কখনোই শুধুমাত্র তাদেরই পেশাদারী অধিকার ভাবতে পারে না।
লেখক : প্রাক্তন শিক্ষার্থী, যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।
সাবেক সহ-সভাপতি, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি।
বাংলাধারা/এফএস/এআর