২৪ অক্টোবর ২০২৫

গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সুপারিশ: সাংবাদিকদের নিবন্ধন বাধ্যতামূলক

 

গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে সারাদেশের সাংবাদিকদের নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করার সুপারিশ করা হয়েছে। শনিবার (২২ মার্চ) প্রধান উপদেষ্টার কাছে কমিশনের সুপারিশসংবলিত প্রতিবেদন হস্তান্তর করেন কমিশনের চেয়ারম্যান কামাল আহমেদ।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে বাংলাদেশ গণমাধ্যম কমিশন নিম্নলিখিত দায়িত্ব পালন করবে—

  • প্রকাশক ও সম্পাদকের যোগ্যতা নির্ধারণ: ফৌজদারি অপরাধে দণ্ডিত বা ঋণখেলাপিরা গণমাধ্যমের মালিক বা সম্পাদক হতে পারবেন না।
  • সাংবাদিকতার শিক্ষাগত যোগ্যতা: সাংবাদিকদের জন্য ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্ধারণ করা হবে।
  • সাংবাদিকদের নিবন্ধন: দেশে কর্মরত সাংবাদিকদের কমিশনে নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করা হবে এবং একটি তালিকা সংরক্ষণ করা হবে।
  • আচরণবিধি প্রণয়ন: সাংবাদিকদের জন্য কোড অব কন্ডাক্ট তৈরি ও তার বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা হবে।
  • লাইসেন্স প্রদান ও শর্ত প্রতিপালন: টেলিভিশন, রেডিও এবং অনলাইন পোর্টালের লাইসেন্স ইস্যু ও শর্ত প্রতিপালন তদারকি করা হবে।
  • সংবাদ সংশোধন ও জবাবদিহি: ভুল বা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সংবাদের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের অভিযোগের প্রতিকার নিশ্চিত করা হবে, যা গণমাধ্যমের জবাবদিহিতা ও মানুষের আস্থা বাড়াতে সহায়ক হবে।

কমিশনের অন্যান্য সদস্যরা হলেন— অধ্যাপক গীতিআরা নাসরীন, সম্পাদক শামসুল হক জাহিদ, মাছরাঙা টিভির এমডি অঞ্জন চৌধুরী, নোয়াবের সচিব আখতার হোসেন খান, সাবেক প্রেস ক্লাব সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ, যমুনা টিভির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহিম আহমেদ, সাংবাদিক জিমি আমির, মোস্তফা সবুজ, টিটু দত্ত গুপ্ত ও শিক্ষার্থী প্রতিনিধি আব্দুল্লাহ আল মামুন।

এআরই/বাংলাধারা

আরও পড়ুন