বিশেষ প্রতিবেদক »
ঈদের বাকি আর মাত্র ৪ দিন। চট্টগ্রামের পশুর বাজারগুলোতে অতিমুনাফার টার্গেট নিয়ে অসাধু ব্যবসায়ীদের চক্রান্ত শুরু হয়েছে। চট্টগ্রামের সাগরিকা ও বিবিরহাট পশু ব্যবসায়ীরা খাওয়াতে শুরু করেছে এক্মি ল্যাবরেটরিজ লিমিটেড এর ‘জাইমোভেট’ নামক পশু মোটা তাজাকরণের পাউডার। আর কোয়ালিটি এগ্রোভেট লিমিটেড তৈরী করেছে ‘কিউভেট’ নামের রুচি বৃদ্ধিকরণ পাউডার। এতে পশুরা বেশী পরিমাণে খাবার রুচি পাবে। অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে পশুর পেট কিছুতেই খালী দেখাবে না। ফলে হৃষ্টপুষ্ট মনে হবে পশুকে।
মাত্র ২/৩ দিনে পশু ফুলে ফেঁপে তিনগুণ মোটায় পরিণত হবার অভিযোগ রয়েছে। পশুকে খাবারের পানির সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়ানো হচ্ছে। এতে কয়েকদিনের মধ্যে ১শ’ থেকে ৫শ’ কেজি ওজনে রুপান্তর করতে এ পাউডার পানির সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়ানো হয়। প্রতিদিন ১ থেকে ২টি প্যাকেট পাউডার খাওয়াতে হয়। শুধু গরুই নয় ছাগল ও ভেড়াকেও মাত্রায় কম পরিমাণ খাইয়ে মোটা তাজা করা সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন ভেটেরিনারী চিকিৎসকরা।

অভিযোগ রয়েছে, এক্মি ল্যাবরেটরিজ লিমিটেড এর তথ্য অনুযায়ী ‘জাইমোভেট’ ও ‘কিউভেট’ তৈরীর কারণ হলো স্বল্প সময়ে পশু মোটাতাজাকরণ করা। তথ্য অনুযায়ী এসব পাউডারে রয়েছে- জেনসিয়ান পাউডার, সোডিয়াম বাইকার্বোনেট, এমোনিয়াম বাইকার্বোনেট, নাক্সভোমিকা এবং জিনজার পাউডার।
মাত্র ২০ গ্রাম ওজনের পাউডার প্যাকেটে রয়েছে এমোনিয়াম বাই কার্বোনেট ৫ গ্রাম, সোডিয়াম বাই কার্বোনেট ১৩ গ্রাম, নাক্সভোমিকা ১ দশমিক ৪ গ্রাম, জিনজার পাউডার ৩শ’ মিলিগ্রাম ও জেনসিয়ান পাউডার ৩শ’ মিলিগ্রাম। গরু, মহিষ ও ঘোড়াকে ১শ’ থেকে ৩শ’ কোজি ওজন বাড়ানোর জন্য ১/২টি স্যাশেট বা প্যাকেট পাউডার খাওয়াতে হবে।
৩শ’ থেকে ৫শ’ কেজি ওজন বাড়ানোর জন্য ৩/৪িিট স্যাশেট খাওয়াতে হবে। গরুর বাচ্চা, ছাগল ও ভেড়াকে ১৫/২৫ কেজি ওজন বাড়ানোর জন্য একটি স্যাশেট এর এক চতুর্থাংশ বা অর্ধেক স্যাশেট খাওয়াতে হবে। ১/২ লিটার পানিতে মিশিয়ে ‘জাইমোভেট’ ও ‘কিউভেট’ পাউডার খাওয়াতে হবে প্রতিদিন ২/৩ বার। পর পর ২/৩ দিন খাওয়ানোর পর পশুর মধ্যে পরিবর্তন আসবে।

ভেটেরিনারী চিকিৎসকদের মতে, এই পাউডারের কারণে ক্ষণিকের জন্য গরু, ছাগল, মহিষ ও ভেড়াসহ যেসব প্রাণীকে খাওয়ানো হবে সকলেরই অস্বাভাবিক ক্ষুদা ও হজমশক্তি বৃদ্ধি পাবে।
এমনকি অতিরিক্ত মাত্রায় খাওয়ানোর ফলে স্বল্প সময়ে প্রাণীকুল ফুলে ফেঁপে মোটা দেখাবে এবং ১০/১২ দিনের মধ্যে পশুটি জবাই করা না হলে মৃত্যুও হতে পারে।
অপরদিকে এ পাউডার খাওয়ানো বন্ধ করা হলে গবাদি পশু আগের অবস্থানে চলে যেতে পারে। তবে এই গবাদি পশুর মাংস মানব দেহের জন্য অনেক ক্ষতিকর। ক্যান্সারসহ ফুসফুসে ছিদ্র হওয়ার পাশাপাশি কিডনির সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
এদিকে, করোনার সময়ে নগরীর পশুর হাটে নিরাপত্তা, বাস স্টেশন, রেল স্টেশন, চারশতাধিক ঈদ জামাত, এলাকাভিত্তিক কোরবানীর পশুর চামড়া ক্রয় বিক্রয়ের স্থান, ১৪৬টি আবাসিক এলাকায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে পুলিশ। পশুর হাটগুলোতে সাব-কন্ট্রোলরুম, পুলিশের অস্থায়ী ক্যাম্প, ওয়াচ টাওয়ার, জাল টাকা সনাক্তকরণ বুথ, পশু চিকিৎসার বুথ ও ব্যাংকের বুথ স্থাপন করা হয়েছে।
১৫ জুলাই থেকে আগামী ২২ জুলাই পর্যন্ত যাত্রী নিরাপত্তায় বাস স্টেশন ও রেল স্টেশনে পুলিশের সাব-স্টেশন ও কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে । প্রধান ঈদের জামাত হিসেবে জমিয়াতুল ফালহা মসজিদ এলাকায়ও ব্যাপক নিরাপত্তা জোরদার করছে সিএমপি।
বাংলাধারা/এফএস/এআই













