২৩ অক্টোবর ২০২৫

গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে চট্টগ্রামে ‘নো ওয়ার্ক, নো স্কুল’ কর্মসূচি

গাজায় চলমান ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে এবং ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে চট্টগ্রামজুড়ে সোমবার (৭ এপ্রিল) পালিত হচ্ছে ‘নো ওয়ার্ক, নো স্কুল’ কর্মসূচি। বিশ্বব্যাপী গড়ে ওঠা ফিলিস্তিনপন্থী আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে চট্টগ্রামের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ছাত্র-সংগঠন এবং সাধারণ মানুষ অংশ নিয়েছেন এই কর্মসূচিতে।

সকাল থেকে নগরীর একাধিক স্পটে দেখা যায় শিক্ষার্থীদের মিছিল, প্ল্যাকার্ড আর ফিলিস্তিন পতাকায় রাঙানো প্রতিবাদের দৃশ্য।

পোর্ট সিটিতে গর্জে উঠলেন শিক্ষার্থীরা

গর্জে উঠলেন পোর্ট সিটি ইন্টারন্যানাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা

সকাল থেকেই পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সামনের সড়কে জড়ো হতে থাকেন শিক্ষার্থীরা। ‘ফ্রি ফ্রি ফিলিস্তিন’, ‘স্টপ কিলিং ইন গাজা’, ‘হিউম্যানিটি ওভার পলিটিক্স’—এমন নানা স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে পুরো এলাকা। বেলা ১২টায় ক্যাম্পাসের সামনেই শতাধিক শিক্ষার্থী বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে রওনা দেন জিইসি মোড়ের দিকে।

বিক্ষোভ করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও

বিক্ষোভে  আইইউসি

নিজ ক্যাম্পাসে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। মিছিল করে তারা জানান, “এই নীরবতা শুধু হত্যাকে প্রশ্রয় দেয়। আমরা ফিলিস্তিনের পক্ষে—মানবতার পক্ষে।”

মেডিকেল-কলেজেও একাত্মতা

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের চিকিৎসক ও শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

সকালে চট্টগ্রাম মসিন কলেজের শিক্ষার্থীরা নিজ ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেন। একই সময়, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী ও চিকিৎসকরা সম্মিলিতভাবে অংশ নেন প্রতিবাদে। মেডিকেল প্রাঙ্গণে মানববন্ধন ও স্লোগানে জানানো হয়— গাজা যেন আরেকবার বিশ্ব বিবেককে নাড়িয়ে দেয়।

সাধারণ জনতার মিছিল, ২ নম্বর গেইটে

এদিকে ২ নম্বর গেইটের বিপ্লব উদ্যানে অনুষ্ঠিত হয় সাধারণ জনতার ব্যানারে একটি বিশাল বিক্ষোভ মিছিল। সেখানে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন, ছাত্র সংগঠনের প্রতিনিধি, এবং নানা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। ব্যানারে লেখা ছিল— “We Stand With Palestine”, “Stop Genocide in Gaza”।

বন্ধ ছিল ক্লাস-পরীক্ষা

চট্টগ্রামের একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আগেই ঘোষণা দিয়েছিল যে, সোমবার কোনো ক্লাস-পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে না। পোর্ট সিটি, চট্টগ্রাম কলেজ, ইন্টারন্যাশনাল ইসলামী ইউনিভার্সিটি, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজসহ আরও কিছু প্রতিষ্ঠানে কার্যক্রম স্থগিত রেখে শিক্ষার্থীদের কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়।

বাংলাধারা/চট্টগ্রাম

আরও পড়ুন