দীর্ঘ নয় মাসেরও বেশি সময় ধরা ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডে চলা যুদ্ধে জাতিসংঘের ৭০ শতাংশের বেশি স্কুলে ইসরায়েল বোমা হামলা চালিয়েছে। হামলায় স্কুল প্রাঙ্গণে আশ্রয় নেওয়া ৫৩৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা দ্য ইউনাইটেড নেশনস রিলিফ অ্যান্ড ওয়ার্কস এজেন্সি ফর ফিলিস্তিনির (ইউএনআরডব্লিউএ)।
জাতিসংঘের সংস্থাটির বরাত দিয়ে বুধবার (১৭ জুলাই) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন এই তথ্য জানানো হয়েছে।
ইউএনআরডব্লিউএ জানিয়েছে, নয় মাসেরও বেশি সময় ধরা চলা যুদ্ধে ৭০ শতাংশের বেশি স্কুলে বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। হামলায় স্কুল প্রাঙ্গণে আশ্রয় নেওয়া ৫৩৯ জন নিহত হয়েছেন।
জাতিসংঘের সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, অপর্যাপ্ত জ্বালানির কারণে দেইর-আল-বালাহ’র ৭ লাখ বাসিন্দা সুপেয় পানির সংকটে ভুগছেন। আহত ফিলিস্তিনিদের চিকিৎসায় লড়াই করছেন গাজার স্বাস্থ্যকর্মীরা। উপত্যকাটিতে পর্যাপ্ত চিকিৎসা সরঞ্জাম নেই। পরিবারের সঙ্গেও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। এ অবস্থায় মনোবল হারিয়ে ফেলছেন কতর্ব্যরতরা। পরিস্থিতি সামলাতে আন্তর্জাতিক মেডিকেল প্রতিনিধিদের অবরুদ্ধ উপত্যকাটিতে প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা।
গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে ঢুকে গাজার শাসক দল হামাসের প্রাণঘাতী হামলার জবাবে উপত্যকায় প্রায় বিরামহীন হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। হামাসের ওই হামলায় নিহত হয় ১২ শর মতো ইসরায়েলি। ওইদিন দুই শতাধিক ইসরায়েলিকে বন্দি করে গাজায় নিয়ে আসেন সশস্ত্র ফিলিস্তিনিরা।
ওই হামলার প্রতিক্রিয়ায় গাজায় নির্বিচার হামলা শুরু দখলদার দেশ ইসরায়েল। তাদের হামলা থেকে রেহাই পায়নি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, মসজিদ কিংবা গির্জার মতো বেসামরিক স্থাপনা।
নয় মাসেরও বেশি সময় ধরে চালানো হামলায় এখন পর্যন্ত ৩৮ হাজার ৭১৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৮৯ হাজার ১৬৬ জন।
হামলার পর বিভিন্ন ভবনের ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়া অনেকেই নিখোঁজ হয়েছেন। তারা মারা গেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।