ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডের বৃহত্তম চিকিৎসাকেন্দ্র আল-শিফা হাসপাতাল অবরুদ্ধ করে রেখেছে ইসরায়েল। এতে করে হাসপাতালটিতে অবস্থানরত বাস্তুচ্যুত মানুষ, রোগী, চিকিৎসা কর্মীসহ ৭ হাজারেরও বেশি মানুষ মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন।
এছাড়া হাসপাতালটিতে খাবার ও পানির ব্যাপক সংকট দেখা দিয়েছে। গাজার সরকারের বরাত দিয়ে শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি সামরিক অবরোধের কারণে আল-শিফা হাসপাতালে অবস্থানরত ৭ হাজারেরও বেশি বাস্তুচ্যুত মানুষ, রোগী এবং চিকিৎসা কর্মী ‘পানি ও খাবারের অভাবে মৃত্যুর সাথে লড়াই করছে’ বলে বৃহস্পতিবার জানিয়েছে গাজা সরকারের মিডিয়া অফিস।
টেলিগ্রামে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আল-শিফা হাসপাতালে শিশুদের জন্য কোনও খাবার, পানি বা দুধ নেই। এছাড়া হাসপাতালে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে অপুষ্টিতে আক্রান্ত শিশুদের মৃত্যু হতে পারে, কারণ এসব শিশু এখন আর ইনকিউবেটর সুবিধা পাচ্ছে না।’
গাজার মিডিয়া অফিস বলেছে, ‘আল-শিফা হাসপাতালে ভয়াবহ অবস্থা বিরাজ করছে। সেখানে ৬৫০ জন রোগী এবং প্রায় ৭ হাজার বাস্তুচ্যুত ব্যক্তি রয়েছেন। চিকিৎসা দল, রোগী এবং বাস্তুচ্যুত ব্যক্তিরা প্রয়োজনীয় জিনিসের অভাবে বেঁচে থাকার জন্য লড়াই করছেন।’
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘ইসরায়েলি বাহিনী হাসপাতাল কম্পাউন্ডের সমস্ত যানবাহন ধ্বংস করে দিয়েছে এবং চিকিৎসা কর্মী বা রোগীদের বের হতে দিতেও অস্বীকার করেছে।’
এই পরিস্থিতিতে কম্পাউন্ডে উপস্থিত সকলকে উদ্ধারের জন্য জরুরিভিত্তিতে আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপের আবেদন করেছে গাজার মিডিয়া অফিস। তারা বলেছে, ‘ইসরায়েলি সেনাবাহিনী আল-শিফা হাসপাতালের ভেতরে তল্লাশি ও অভিযান পরিচালনা করেছে, নিহতদের মৃতদেহ অজ্ঞাত স্থানে স্থানান্তর করেছে। দখলদার বাহিনী এই অবকাঠামোকে একটি সামরিক ব্যারাকে রূপান্তরিত করেছে।’
হাসপাতালটিতে হামাসের ঘাঁটি রয়েছে বলে দাবি করেছে ইসরায়েল। এছাড়া ইসরায়েলের এই দাবিকে সমর্থন করে যুক্তরাষ্ট্রও জানিয়েছে, তাদের কাছেও আল শিফা হাসপাতালের নিচে সুড়ঙ্গে হামাসের একটি ‘কমান্ড-অ্যান্ড-কন্ট্রোল সেন্টার’ থাকার তথ্য রয়েছে।
তবে এ দাবি অস্বীকার করেছে হামাস ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে আল শিফা হাসপাতালে ইসরায়েলি অভিযানের নিন্দা জানিয়ে একে ‘মানবতাবিরোধী অপরাধ’ বলে অভিহিত করেছে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ।












