খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি»
পার্বত্য খাগড়াছড়ি জেলার গুইমারা উপজেলায় প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর করে দিবে বলে প্রতারণা করে একজনের কাছ থেকে টাকা আদায়ের অভিযোগে মো:রফিক নামের এক ব্যক্তিকে আটক করেছেন গুইমারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার তুষার আহমেদ।
সোমবার (৪ অক্টোবর) দুপুরে গুইমারা উপজেলার হাফছড়ি ইউনিয়নের হাজীপাড়া গ্রামের বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা আলী আকবরের ধর্মের ছেলে আব্দুর রহিমের অভিযোগের ভিত্তিতে খাগড়াছড়ি জেলার শালবাগানের মোহাম্মদপুর এলাকার অভিযুক্ত প্রতারক রফিককে গুইমারা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার তুষার আহমেদ জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন।
পুলিশ জানায়, সরকারি ঘর বরাদ্দের নামে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে গুইমারা উপজেলার সদর ইউনিয়নের লুন্দুক্যা পাড়া এলাকা থেকে আটকের পর তাকে থানায় নিয়ে আসা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রফিক তার প্রতারণার কথা প্রথমে অস্বীকার করলেও পরে সে প্রতারণার বিষয়টি স্বীকার করে বলে ‘আমি ৭ হাজার ২শ টাকার কথা বলিনি আমি বলেছি ঢাকা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আবেদন জমা দেওয়ার জন্য গাড়িভাড়া দিলে ঘরে আবেদন জমা দিবো।‘
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী বলেন, গতকাল ৩ অক্টোবর আমাদেরকে খাগড়াছড়ি ৭হাজার ২শ টাকা নিয়ে যাওয়ার জন্য বলেন খাগড়াছড়ি জেলার শালবাগানের মোহাম্মদ পুর গ্রামের প্রতারক রফিক গতকাল টাকা দিতে পারিনী বলে আজকে টাকার জন্য গুইমারার আমার ধর্মের ছেলের বাড়ি লুন্দুক্যা পাড়া আসলে আমি উপজেলা নির্বাহী অফিসার তুষার আহমেদ স্যারকে অবহিত করলে স্যার ঘটাস্হলে পুলিশ নিয়ে প্রতারক রফিককে আটক করেন। এ বিষয়ে গুইমারা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গুইমারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার তুষার আহমেদ বলেন, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উপহারের আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরকরে দিবে বলে খাগড়াছড়ি জেলার শালবাগানের মোহাম্মদপুর এলাকার রফিক নামের এক প্রতারকে ভুক্তভোগী আব্দুর রহিমের ধর্মের পিতা বীরমুক্তিযোদ্ধা আলী আকবরের অভিযোগের ভিওিতে আটক করে থানা পুলিশের হাতে হস্তান্তর করা হয় অভিযুক্ত রফিকের বিরুদ্ধে গুইমারা থানায় একটি মামলা হয়েছে বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে গুইমারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর করে দিবে বলে গুইমারা সদর ইউনিয়ের লুন্দুক্যা পাড়ার বাসিন্দা আব্দুর রহিমের অভিযোগের ভিওিতে অভিযুক্ত রফিকের বিরুদ্ধে গুইমারা থানায় প্রতারনা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বাংলাধারা/এফএস/এফএস













