২৪ অক্টোবর ২০২৫

গৃহবধূর সঙ্গে বিকৃত যৌনাচার করতো ভাশুর, সহযোগী ছিল স্বামী

বাংলাধারা প্রতিবেদক »

গৃহবধূ তাসলিমার (ছদ্মনাম) সঙ্গে সিরাজুল ইসলামের বিয়ে হয় গত ২১ জুলাই। বিয়ের পর থেকেই স্ত্রীর হাত-পা ও চোখ বেঁধে রুম অন্ধকার করে বিকৃতভাবে সহবাস করতো স্বামী সিরাজুল। একই কায়দায় সহবাসের সময় একদিন হাতের বাঁধন খুলে যায় তাসলিমার। এরপর চোখ খুলে দেখতে পান তার সঙ্গে সহবাস করছে তারই ভাশুর রনি। স্বামীর সহযোগীতা চেয়ে উল্টো মারধরের শিকার হয়েছে ওই গৃহবধূ। এমন ঘটনা ঘটেছে নগরের কোতোয়ালী থানা এলাকায়।

শনিবার (২২ অক্টোবর) দিবাগত রাতে ফিরিঙ্গীবাজার মসজিদ ভিটা এলাকা থেকে ওই গৃহবধূর স্বামী ও ভাশুরকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

এর আগে এসকল অভিযোগ এনে গৃহবধূ বাদি হয়ে কোতোয়ালী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন।

গতকাল (রোববার) দুপুরে দুই আসামিকে অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আব্দুল হালিমের আদালতে হাজির করা হয়। আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

মামলার এজাহার ও পুলিশ সুত্রে জানা যায়, গত ২১ জুলাই সামাজিকভাবে সিরাজুল ইসলামের সঙ্গে বিয়ে হয় ভুক্তভোগী নারীর। সিরাজ বিয়ের পর থেকে তার স্ত্রীর হাত-পা ও চোখ বেঁধে রুম অন্ধকার করে বিকৃতভাবে সহবাস করতো। চোখ বাঁধার কারণে কে সহবাস করতো তা দেখতে পারতো না গৃহবধূ। প্রথমদিকে স্বামীই সহবাস করছে মনে করতেন তিনি। কিন্তু প্রথমদিকে সন্দেহ না করলেও পরবর্তীতে গৃহবধূর সন্দেহ হতে থাকে।

গত ৫ সেপ্টেম্বর একই কায়দায় অন্ধকার কক্ষে বিকৃতভাবে সহবাস করতে গেলে একপর্যায়ে তার হাতের বাঁধন খুলে যায়। চোখের কাপড় সরিয়ে দেখতে পায় ভাশুর মো. ইব্রাহিম রনিকে।

এই বিষয়ে স্বামী সিরাজের কাছে জানতে চাইলে উল্টো গৃহবধূকে মারধর করে এবং মেরে ফেলার হুমকি দেয়। পরে কোতোয়ালী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ২০০০ (সংশোধিত ২০২০) এর ৯ (১) ধারায় গৃহবধূ বাদি হয়ে মামলা করেন।

কোতোয়ালী থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) রুবেল হাওলাদার বলেন, ‘ফিরিঙ্গাবাজার এলাকায় এক গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগে গৃহবধূর স্বামী ও তার ভাইকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরে দুই আসামিকে ৫ দিনের রিমান্ড আবেদনসহ আদালতে হাজির করা হয়।’

তিনি বলেন, ‘আদালত দুই আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। আদালত রিমান্ড আবেদনের শুনানি আগামী মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) দিন ধার্য করেছেন।’

আরও পড়ুন