রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি»
র্যাডিকেল ইন্টার্ন্যাশনালের প্রতিষ্ঠাতা ও মূখপাত্র এবং সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের নির্বাহী সদস্য সমাজকর্মী এস. এম. ইকরাম হোসাইন। গতকাল রাতে গ্রামবাসীর নিরাপত্তা চেয়ে ফেইসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন তিনি।
তার স্ট্যাটাস তুলে ধরা হলোঃ
রত্নগর্ভা সৈয়দবাড়ি, রাঙ্গুনিয়া উপজেলার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত একটি গ্রাম। রাঙ্গুনিয়া মডেল থানা, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন, পশু হাসপাতাল, ওয়াপদা থেকে শুরু করে রাঙ্গুনিয়ার প্রশাসনিক ও স্থানীয় সরকারের অসংখ্য দপ্তর অবস্থিত এই গ্রামে, রাঙ্গুনিয়া সরকারী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, মহিলা কলেজ, নুরুল উলুম মাদ্রাসা, রাঙ্গুনিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়, বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে শুরু করে প্রধানতম যতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও অসংখ্য অবকাঠামোগত উন্নয়নে সমৃদ্ধ এই গ্রাম!
বর্তমান সম্মানিত উপজেলা চেয়ারম্যান, পৌরমেয়র, উপজেলা মহিলা আওয়ামীলীগ সভাপতি, যুবলীগ সভাপতি থেকে শুরু করে দেশের গণ্যমান্য অসংখ্য শিক্ষাবিদ, প্রশাসনিক কর্মকর্তা, বুদ্ধিজীবী, রাজনীতিবিদ ও দেশ – বিদেশের বিভিন্নক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত ও পরিচিত অসংখ্য মুখের উর্বর সূতিকাগার চট্টগ্রাম – কাপ্তাই মহাসড়ক ঘেঁষে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ‘গুমাই’ বিলের বুকছিঁড়ে দন্ডায়মান এই গ্রাম।
এমনকি মুক্তিযুদ্ধে জীবনবাজি রেখে রাঙ্গুনিয়া উপজেলা থেকে ভূমিকা রাখা সর্বাধিক বীর মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যাও এই গ্রামে! এই গ্রামের আর্কাইভে জমা আছে বহু প্রবীণ আলেমদ্বীন, রাজনীতিবিদ ও সমাজসংস্কারকের জীবণাচরণ – ইতিবৃত্তান্ত; এ গ্রামের বাতাসের ভাঁজে, পরতে পরতে মিশে আছে প্রাচীনকাল, মুঘল সাম্রাজ্য, বৃটিশ আমল থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধকালীন দারুণ সব ইতিহাস, ঐতিহ্য, লোককথা।

গর্বের উপাত্ত – উপাদানের যেমন শেষ নেই আমার প্রিয় গ্রাম নিয়ে; তেমনি শঙ্কা – উৎকন্ঠা – কষ্টেরও কমতি নেই আমার অসহায় গ্রামবাসীদের নিয়ে! যখন গ্রামের দৈনিক হালচিত্র হয় চুরি – ডাকাতি – ছিনতাই, যখন গ্রামের কিশোর – যুব প্রজন্মের হাতে হাতে তুলে দেয়া হয় প্রজন্ম বিধ্বংসী গাঁজা, মাদক, ইয়াবা – তখন হাজারো গৌরব নিমিষেই ম্লান হয়ে যায়, লজ্জায় – গ্লানিতে মাথানত হয়ে যায়, গ্রামের ভবিষৎ নিয়ে শঙ্কায় অসাঢ় হয়ে পড়ে চিন্তাকেন্দ্র! অবকাঠামোগত উন্নয়ন দিয়ে কি হবে যদি গ্রামের মানুষ অনিরাপত্তা নিয়ে দিনাতিপাত করে, নির্ঘুম রাত কাটাতে হয় প্রতিদিন?
গ্রামের শিক্ষিত ও সজ্জন ব্যক্তিবর্গমিলে বহুবার রাত জেগে গ্রাম পাহাড়া দেয়া হয়েছে, নেয়া হয়েছে নানান পদক্ষেপ; প্রশাসনের দ্বারস্থ হওয়া হয়েছে বারংবার; আশ্বাস পেলেও – ফলাফল শূন্য! যেনো এলাকার এই মাদক ও চোর – ডাকাত সিন্ডিকেটের মূলহোতা কারা প্রত্যেকেই জানে, কিন্তু চুপ থাকা ছাড়া উপায় নেই, থাকতে হয়!
নিজের আদর্শ গ্রামের এহেন পরিস্থিতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করা লজ্জার, গ্লানিকর, জীবনহুমকীর- কিন্তু জনজীবন যখন অতিষ্ঠ তখন ভয় আর লজ্জায় কি আসে যায়? প্রশাসনের নাকের ডগার উপর এমন অনাচার, বিশৃঙ্খলা প্রতিনিধিদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে, পিছনে নিত্য সমালোচনা চলছে!
গণ মানুষের প্রিয়নেতা, রাঙ্গুনিয়াবাসীর ভরসাস্থল, মডার্ণ রাঙ্গুনিয়ার রূপকার মাননীয় তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি মহোদয়, সম্মানিত উপজেলা চেয়ারম্যান, পৌরমেয়র শাহজাহান সিকদার মহোদয় ও প্রশাসনের প্রতি এই ক্রোনিক সমস্যার আশু সমাধানের জন্য বিনীত নিবেদন রইলো। প্রয়োজনে প্রশাসন ও গ্রামের প্রতিনিধি, শিক্ষিত তরুণ যুবদল মিলে একটি স্থানীয় টাস্কফোর্স গঠন করে এই সিন্ডিকেট নির্মূল করা হোক। সৈয়দবাড়ি গ্রামবাসী শান্তিতে ঘুমাতে যায়, নিরাপত্তা চায়।
নিরাপত্তা ও শীঘ্রই সমাধানে রাঙ্গুনিয়ার সাংসদ তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি’র সুদৃষ্টি কামনা করেন।
বাংলাধারা/এফএস/এফএস













