স্থায়ী বসবাসের নিশ্চয়তা কেবল গ্রিনকার্ড থাকলেই মিলবে না বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভ্যান্স। ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “একজন গ্রিনকার্ডধারী অনির্দিষ্টকালের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে থাকতে পারে না।”
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় এসেই অবৈধ অভিবাসীদের নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর কঠোর প্রক্রিয়া শুরু করেছেন। পাশাপাশি, ট্রাম্প প্রশাসন যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন নীতিতে বড় পরিবর্তন আনার পরিকল্পনা করছে।
নতুন নীতির আওতায় ‘গোল্ড কার্ড’ নামে একটি বিশেষ ভিসা চালু করার কথা বিবেচনা করা হচ্ছে, যা কিনতে অভিবাসীদের গুনতে হবে পাঁচ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (প্রায় ৬০ কোটি টাকা)। বিশ্লেষকদের মতে, এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে বর্তমান ‘ইবি-৫ প্রোগ্রাম’ বাতিল হতে পারে, যা বিদেশি বিনিয়োগকারীদের যুক্তরাষ্ট্রে গ্রিনকার্ড পাওয়ার একটি প্রধান উপায়।
এছাড়া, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জন্মগত নাগরিকত্ব আইন পরিবর্তন নিয়ে আইনি লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। নতুন পরিকল্পনার ফলে যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণকারী অনেক শিশুর নাগরিকত্ব পাওয়ার পদ্ধতিতেও পরিবর্তন আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের কড়াকড়ি অভিবাসন নীতি বিশ্বব্যাপী অভিবাসীদের মধ্যে নতুন উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসব পরিবর্তন বাস্তবায়িত হলে যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে বসবাস ও নাগরিকত্ব পাওয়ার পথ আরও কঠিন হয়ে উঠবে।