বাংলাধারা প্রতিবেদন»
‘২০০৪ সালের ২১ আগস্ট হামলা চালাতে তারেক রহমান, মন্ত্রী লুৎফুর রহমান বাবর, শিক্ষা-উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টু, মন্ত্রী আলী আহসান মুজাহিদ হাওয়া ভবনে বসে ১৪ আগস্ট নির্দেশ দিয়েছিল। এটি আমার কথা নয়, এই ঘটনায় যারা গ্রেফতার হয়ে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন’- এমনটাই মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া।
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ২২ বার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। কারা হত্যার এই ষড়যন্ত্র করেন!’
সোমবার (৩০ আগস্ট) দুপুরে লোহাগাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে মোস্তাফিজুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ মাঠে জাতীয় শোক দিবসের আলোচনায় এ কথা বলেন।
ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, বঙ্গবন্ধু খুনিদের বৈধতা দিতে সেদিন নেপথ্যের নায়ক জিয়া রহমান বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচার না করে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশকে আইনে পরিণত করেছিল। তথ্য প্রযুক্তির কারণে অনেক তথ্য আমাদের সামনে চলে আসছে। বঙ্গবন্ধু খুনিরা ১৯৭৫ সালের ২০ মার্চ জিয়া রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বঙ্গবন্ধু হত্যার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিল ষড়যন্ত্রকারীরা। সে সময় জিয়া বলেছিলেন ‘গো অ্যাহেড’।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যারা আওয়ামী লীগ করি, বিভিন্ন দিবসে বনানী কবরস্থানে যাই শ্রদ্ধা নিবেদন করতে। প্রতিটি কবরে আলাদা করে নাম ফলক আছে। কিন্তু ১৮ টি কবরের কোনো সুনির্দিষ্ট চিহ্ন নেই। সেদিনের হত্যাকাণ্ডের পরে মরদেহের প্রতি কোনো ধর্মীয়রীতি, মর্যাদা অনুসরণ করেনি হত্যাকারীরা।‘
লোহাগাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সালাহ উদ্দিন হিরু সঞ্চালনায় ও উপজেলার আওয়ামী লীগের সভাপতি খোরশেদ আলম চৌধুরী সভাপিতত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমদ এমপি, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপপ্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, চট্টগ্রাম-১৫ আসনের সংসদ সদস্য আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুউদ্দিন নদভী, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমানসহ প্রমুখ।
বাংলাধারা/এফএস/এফএস













