১৬ ডিসেম্বর ২০২৫

ঘূর্ণিঝড়ের নাম ‘ফণি’ হলো যেভাবে

Bijoux Connect3

বাংলাধারা ডেস্ক »

‘ফণি’ নামটি এখন বাংলাদেশের মানুষের মুখে মুখে। তবে অনেকেই জানেন না এর নামকরণটি কীভাবে হলো। ‘ফণি’ নামটি দিয়েছে বাংলাদেশ। এর অর্থ সাপ বা ফণা তুলতে পারে এমন প্রাণী। ইংরেজিতে (Fani) লেখা হলেও এর উচ্চারণ ‘ফণি’। মনে স্বভাবতই প্রশ্ন জাগতে পারে ‘ফণি’ নামটি কিভাবে এলো। দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট এবারের ঘূর্ণিঝড়ের নাম দেওয়া হয়েছে ‘ফণি’ যার অর্থ সাপ বা ফণা তুলতে পারে এমন ভয়ঙ্কর সরীসৃপ জাতীয় প্রাণী। বঙ্গোপসাগর ও আরব সাগর উপকূলের আটটি দেশের প্রস্তাব অনুসারে একটি তালিকা থেকে একটির পর একটি ঘূর্ণিঝড়ের নাম করা হয়।

একসময় ঝড়গুলোকে নানা নম্বর দিয়ে শনাক্ত করা হতো। কিন্তু সেসব নম্বর সাধারণ মানুষের কাছে দুর্বোধ্য হতো। ফলে সেগুলোর পূর্বাভাস দেয়া, মানুষ বা নৌযানগুলোকে সতর্ক করাও কঠিন মনে হতো। এ কারণে ২০০৪ সাল থেকে বঙ্গোপসাগর ও আরব সাগরের উপকূলবর্তী দেশগুলোয় ঝড়ের নামকরণ শুরু হয়। সে সময় আটটি দেশ মিলে মোট ৬৪টি নাম প্রস্তাব করে। সেসব ঝড়ের নামের মধ্যে এখন ‘ফণি’ ঝড়কে বাদ দিলে আর সাতটি নাম বাকি রয়েছে।

এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সাগরতীরের আট দেশের আবহাওয়া দফতর ও বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্যানেলে এ নাম প্রস্তাব করে বাংলাদেশ। এর আগে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে প্রস্তাব করা নামগুলো ছিল হেলেন, চাপালা ও অক্ষি। ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণে মেয়েদের নামের প্রাধান্য দেখা যায়। এরপরের ঘূর্ণিঝড়ের নাম হবে ভারতের প্রস্তাব অনুযায়ী ‘বায়ু’। এর পরবর্তী নামের তালিকায় রয়েছে হিক্কা, কায়ার, মাহা, বুলবুল, পাউয়ান এবং আম্ফান। এই ছয়টি নাম শেষ হয়ে গেলে আবারও প্যানেলভুক্ত দেশগুলো নতুন নাম ঠিক করবে।

আগে ঝড়গুলোকে নানা নম্বর দিয়ে সনাক্ত করা হতো। কিন্তু সেসব নম্বর সাধারণ মানুষের কাছে দুর্বোধ্য হতো। ফলে সেগুলোর পূর্বাভাস দেয়া, মানুষ বা নৌযানগুলোকে সতর্ক করাও কঠিন মনে হতো। ফলে ২০০৪ সাল থেকে বঙ্গোপসাগর ও আরব সাগরের উপকূলবর্তী দেশগুলোতে ঝড়ের নামকরণ শুরু হয়। তবে এর আগে থেকেই যুক্তরাষ্ট্র বা অস্ট্রেলিয়া অঞ্চলে ঝড়ের নামকরণ করা হতো। ভারত মহাসাগরে ঘূর্ণিঝড়কে সাইক্লোন বলা হলেও আটলান্টিক মহাসাগরীয় এলাকায় ঘূর্ণিঝড়কে বলা হয় হারিকেন, প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে বলা হয় টাইফুন।

বাংলাধারা/এফএস/এমআর/এসবি

আরও পড়ুন

এ সম্পর্কিত আরও

সর্বশেষ