২৭ অক্টোবর ২০২৫

চট্টগ্রামের ল্যাবেই চিহ্নিত হবে মাদক

বাংলাধারা প্রতিবেদক»

নগরীতে মাদক চিহ্নিত করতে স্থাপন করা হয়েছে টেস্টিং ল্যাবরেটরি। নগরীর আইস ফ্যাক্টরি রোডের বিভাগীয় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের দুটি ফ্লোরে ল্যাবের যন্ত্রপাতি বসানো হয়েছে। জনবল নিয়োগ হলেই শুরু হবে ল্যাবের কার্যক্রম।

এর আগে মাদক চিহ্নিত করতে নমুনা ঢাকায় পাঠানো হতো। কিন্তু এখন থেকে চট্টগ্রামের ল্যাবেই চিহ্নিত করা যাবে যে কোন ধরনের মাদক। তবে এর জন্য প্রশিক্ষিত জনবল নিয়োগ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।

সহজে ইয়াবা পাবার কারণে মাদকের মধ্যে শুধু ফেন্সিডিলের ব্যবহার কিছুটা কমেছে। ইয়াবার পাশাপাশি বিচিত্র মাদকের অনুপ্রবেশ মাদক পরিস্থিতিকে জটিল করে তুলেছে। দেশে এখন নতুন নতুন মাদকের ছড়াছড়ি। মাদক চিহ্নিত করতে হিমশিম খাচ্ছে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন।

মাদক কারবারিরা বিভিন্ন কৌশলে দেশে নতুন নতুন মাদক নিয়ে আসছে। এ অবস্থায় মাদক চিহ্নিত করতে চট্টগ্রামসহ দেশের চারটি বিভাগীয় শহরে স্থাপন করা হয়েছে টেস্টিং ল্যাবরেটরি। বাকি তিনটি বিভাগীয় শহর হচ্ছে রাজশাহী, সিলেট ও বরিশাল। ল্যাবের যন্ত্রাপাতি বসানো হলেও এখনো নিয়োগ দেয়া হয়নি জনবল।

‘চল যাই যুদ্ধে মাদকের বিরুদ্ধে’ শ্লোগান নিয়ে ২০১৮ সালের ৪ মে মাদক বিরোধী অভিযান শুরু হয়েছিল। এতে শুধু কক্সবাজারে ২৯৯ জন নিহত হয়। আত্মসমর্পণের সুযোগ পায় ১২৩ জন ‘মাদক কারবারি’।

চট্টগ্রাম বিভাগীয় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত রাসায়নিক পরীক্ষক আবু হাসান জানান, আইস ফ্যাক্টরি রোডের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ভবনের দুটি ফ্লোরে ইতিমধ্যে বসানো হয়েছে টেস্টিং ল্যাবের যন্ত্রপাতি। জনবল নিয়োগ হলেই ল্যাব চালু করা হবে।

গত ৩০ জুন ঢাকায় অনুষ্ঠিত মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সমন্বয় সভায় বলা হয়েছে, দেশের চারটি বিভাগীয় শহরে স্থাপিত টেস্টিং ল্যাবে ইতিমধ্যে যন্ত্রপাতি পাঠানো হয়েছে। যন্ত্রপাতির ব্যবহার ও রক্ষণাবেক্ষণ না করলে সেগুলোর কার্যকারিতা থাকবে না। সরকারি স্বার্থ বিবেচনায় জনবল নিয়োগ দেয়া জরুরি। জনবল নিয়োগ দিতে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

বাংলাধারা/আরএসটি

আরও পড়ুন

এ সম্পর্কিত আরও

সর্বশেষ