চট্টগ্রামের আলোচিত ‘সন্ত্রাসী’ ছোট সাজ্জাদ ওরফে ‘বুড়ির নাতি’কে বাকলিয়া থানার জোড়া খুনের মামলায় ৭ দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে নগর ও জেলার তিন থানায় দায়ের করা আরও আটটি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার (শ্যোন অ্যারেস্ট) দেখানোর আদেশ দিয়েছেন তিনটি ভিন্ন আদালত।
রোববার (১৩ এপ্রিল) দুপুর ২টার দিকে চট্টগ্রামের দ্বিতীয় মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক ইব্রাহীম খলিল এই আদেশ দেন।
আদালত সূত্র জানায়, সকালে কারাবন্দি সাজ্জাদকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে আদালতে হাজির করে পুলিশ। পরে হাটহাজারী থানার দুটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করা হয়। সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বেগম নাজমুন নাহারের আদালত তা মঞ্জুর করেন।
এছাড়া, চান্দগাঁও থানার পাঁচটি ও বায়েজিদ থানার একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের ৪র্থ ও ৫ম আদালত।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (প্রসিকিউশন) মফিজ উদ্দিন বলেন, “বাকলিয়া থানার জোড়া খুনের মামলায় পুলিশ ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে। শুনানি শেষে আদালত ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।”
চট্টগ্রাম জেলা কোর্ট পরিদর্শক হাবিবুর রহমান জানান, “হাটহাজারী থানার একটি হত্যা ও একটি মারামারির মামলায় সাজ্জাদকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর হয়েছে। এ সময় আদালত প্রাঙ্গণে জেলা ও নগর পুলিশের পক্ষ থেকে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।”
ছোট সাজ্জাদ চট্টগ্রামের বায়েজিদ বোস্তামী থানার শিকারপুর এলাকার মো. জামালের ছেলে। তার বিরুদ্ধে হত্যা, অস্ত্র ও চাঁদাবাজিসহ ১৫টির বেশি মামলা রয়েছে।
গত ১৫ মার্চ রাতে রাজধানীর বসুন্ধরা সিটি থেকে সাজ্জাদকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর ২৯ মার্চ রাতে চট্টগ্রামের বাকলিয়া থানার এক্সেস রোড এলাকায় দুর্বৃত্তের গুলিতে মো. আব্দুল্লাহ ও মো. মানিক নিহত হন।
এ ঘটনায় ১ এপ্রিল নিহত মানিকের মা ফিরোজা বেগম বাকলিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় সাজ্জাদ, তার স্ত্রী শারমিন তামান্না এবং আরও তিনজনকে আসামি করা হয়। এতে সাজ্জাদ ও তার স্ত্রীকে ‘হুকুমের আসামি’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়।













