২৮ অক্টোবর ২০২৫

চট্টগ্রামের সেলুনকর্মীরা বিপাকে

ইফতেখার হোসেন »

সরকারি ছুটি ঘোষণার পর দুই দিনেই অর্থনৈতিক মন্দায় দিন কাটাচ্ছে নগরীর অধিকাংশ সেলুনকর্মীদের। যখন হাতে অফুরন্ত কাজ ছিল তখনও কোনোমতে খেয়ে পড়ে থাকতেন তারা। কিন্তু প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের কারণে দোকান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দুশ্চিন্তার ভাজ পড়েছে তাদের কপালে। আরও কয়েকদিন গেলে কীভাবে তারা পরিস্থিতি সামাল দেবেন এই নিয়ে তারা মহাদুশ্চিন্তায় আছেন।

করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ রোধে দেশে কার্যত লকডাউন অবস্থা চলছে। সবাইকে বাসার ভেতরে থাকার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দোকান, ফার্মেসি ছাড়া অন্যান্য সকল কিছু বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সরকার ঘোষিত এই নিষেধাজ্ঞা চলছে গত ২৬ মার্চ থেকে। আগামী মাসের ৪ তারিখ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হতে পারে। এই সময় আরো দীর্ঘ হতেও পারে। এই দীর্ঘ সময়ে কাজ না থাকায় আর্থিক সংকট দেখা দিয়েছে নরসুন্দরদের মধ্যে।

বিপাকে পড়া এসব কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, অধিকাংশ নরসুন্দর মহল্লার ছোট ছোট সেলুনে কাজ করেন। কাজ হলে টাকা পান, নতুবা না।

নগরীর গোলপাহাড় মোড়ে অবস্থিত অভিজাত একটি সেলুনে কাজ করেন মোতাহার। সে জানায়, সরকারি ঘোষণার পর সেলুনটি বন্ধ রেখেছে মালিক। কখন খুলবে তাও ঠিক নেই। এই অবস্থা চলতে থাকলে না খেয়ে থাকতে হবে তার পরিবারকে।

এদিকে নগরীর ওয়াসা মোড়ের একটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত সেলুনে কাজ করেন জগদীশ। বাড়ি খাগড়াছড়ি।

জগদীশ বলেন, দুই দিনেই অবস্থা খারাপ হয়ে গেছে। কোনো রকম খাইয়া, না খাইয়া আছি। বাকি দিনগুলাতে কি করব বুঝতেছি না।

তিনি জানান, জমানো টাকা দিয়ে আগেই বাজার করে রেখেছিলেন। যা আর দুই থেকে তিন দিন চলতে পারে। এরপর কি করবেন, সে বিষয়ে ধারণা নেই তার।

হতাশা প্রকাশ করে জামালখান এলাকার একজন নরসুন্দর বলেন, কি করোনা আইল, কাজকাম বন্ধ। কারও থেকে ধার নিমু সে সুযোগও নাই। আমার সাথে যারা কাজ করে, সবার একই অবস্থা। কারো কাছে হাত তো পাততে পারি না ভাই। আমরা কাজ করার লোক।

এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অনেক সেলুনের কর্মচারী নিষেধাজ্ঞা পেতেই চট্টগ্রাম ছেড়েছেন। কর্মচারীদের ভাষ্যমতে, এসব সেলুনের মালিকরা সঠিক সময়ে চট্টগ্রামে না ফিরলে তাদের সমস্যা আরও বাড়তে পারে।

বাংলাধারা/এফএস/টিএম/এএ

আরও পড়ুন