দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রামের ১৬ আসনে দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। রোববার বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে অবস্থিত দলীয় কার্যালয়ে আয়েজিত সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে চট্টগ্রামের ১৬ আসনসহ সারাদেশের ৩০০ আসনে চূড়ান্ত প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
চট্টগ্রাম-১ (মিরসরাই) আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন মাহবুবুর রহমান রুহেল, চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) মনোনয়ন পেয়েছেন খদিজাতুল আনোয়ার সনি, চট্টগ্রাম-৩ (সন্দ্বীপ) মনোনয়ন পেয়েছেন মাহাফুজুর রহমান মিতা, চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড) আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন এস এম আল মামুন, চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী) আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন আব্দুস সালাম, চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন ফজলে করিম চৌধুরী, চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনিয়া) আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন ড. হাছান মাহমুদ, চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী) আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন নোমান আল মাহমুদ, চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালী-বাকলিয়া) আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, চট্টগ্রাম-১০ (পাহাড়তলী-ডবলমুরিং) আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন মহিউদ্দিন বাচ্চু, চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর-পতেঙ্গা) আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন এম এ লতিফ, চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, চট্টগ্রাম-১৩ (আনোয়ারা-কর্ণফুলী) আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ) আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন নজরুল ইসলাম চৌধুরী, চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগড়া) আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন আবু রেজা মোহাম্মদ নদবি, চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান।
চট্টগ্রামে পছন্দের প্রার্থীদের মনোনয়ন পাওয়ায় উচ্ছ্বাস ও আনন্দ মিছিল করছেন দলীয় নেতাকর্মী ও অনুসারীরা।
এর আগে সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভায় বেশির ভাগ আসনের প্রার্থীর নাম চূড়ান্ত হলেও কৌশলগত কারণে সে তালিকা প্রকাশ করা হচ্ছিল না।চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশের আগে আজ সকাল ১০টার পর গণভবনে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই সভায় শেখ হাসিনা মনোনয়প্রত্যাশীদের বলেন, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কেউ পাস করে আসতে পারবেন না। প্রত্যেক প্রার্থীকেই একজন করে দলীয় ডামি প্রার্থী রাখতে হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রার্থী জানান, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কেউ যদি কোনো আসনে জয়ী হন, তাহলে বিজয়ী প্রার্থীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে দলীয় প্রধান জানিয়েছেন। দলীয় প্রতীকের প্রার্থীর পাশাপাশি দলের যে কোনো নেতা বা যে কোনো ব্যক্তি স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে পারবে বলেও নির্দেশনা দিয়েছেন।
চলতি বছর আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম কিনেছেন ৩ হাজার ৩৬২ জন। সর্বশেষ গত ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তার আগের সংসদের ৫৬ জন এমপি দলীয় মনোনয়ন পাননি। আবার ২০১৪ সালের নির্বাচনে তার আগের সংসদের ৪৯ জনকে মনোনয়ন দেয়া হয়নি।













