১৩ ডিসেম্বর ২০২৫

চট্টগ্রামে অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়েছেন পুলিশ কর্মকর্তা; একই অভিযোগে স্ত্রী কারাগারে!

বাংলাধারা প্রতিবেদক »

চট্টগ্রামের এক পলিশ কর্মকর্তা অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়েছেন। একই অভিযোগে সেই পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

সেই পুলিশ কর্মকর্তার নাম নওয়াব আলী। তিনি অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) উপপরিদর্শক (এসআই)। একই অভিযোগে কারাগারে যাওয়ার তার স্ত্রীর নাম গোলজার বেগম। তিনি চট্টগ্রাম মহানগর মহিলা দলের সাংগঠনিক সম্পাদক।

মঙ্গলবার (৯ মার্চ) সকাল ১১ টায় চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমানের আদালতে গোলজার বেগম আত্মসমর্পন করে জামিনের আবেদন করেছিলেন। কিন্তু মামলার বাদী দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদুক) আবেদনের বিরোধীতা করলে আদালত জামিনের আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠান।

দুদকের আইনজীবী মাহমুদুল হক বলেন, গোলজার বেগম আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেছিলেন। দুদকের পক্ষ থেকে জামিনের বিরোধীতা করে তথ্য প্রমাণ হাজির করলে আদালত জামিন নাকচ করে কারাগারে পাঠান।

জানা যায়, গোলজার বেগমের নামের অবৈধ সম্পদের অভিযোগ উঠেছিল পুলিশ কর্মকর্তা নওয়াব আলীর বিরুদ্ধে । শুধু স্ত্রীর নামেই নয়, অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়েছেন নিজের নামেও। দুদকের তদন্তে উঠে এসেছে নিজের অর্জিত সম্পদের বাইরে অসংগতিপূর্ণভাবে ১ কোটি ৩৮ লাখ টাকার স্থাপর-অস্থাবর সম্পদ তারা অর্জন করেছেন।

জানা যায়, নওয়াব আলীর গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জ সদরের কেকানিয়া এলাকায়। সেখানে ২০১৩ সালে ৬ দশমিক ১০ শতাংশ জমির ওপর একটি দ্বিতল বাড়ি করে নিজের নামে।

এছাড়া স্ত্রী গোলজারের নামে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড এলাকার সলিমপুরে ৩৫৪ শতক জমি, নগরীর লালখান বাজার এলাকায় গাড়ির পার্কিংসহ ১ হাজার ১০০ বর্গফুটের ফ্ল্যাট, একই এলাকায় আরও চার শতক জমি ছাড়াও একটি মাইক্রোবাস রয়েছে।

দুদক সূত্রে জানা যায়, এসআই নওয়াব আলী সব অবৈধ সম্পদের মালিক বলে উল্লেখ করেছেন স্ত্রী গোলজার বেগমকে। মাছ চাষ করে ১ কোটি ১০ লাখ টাকা আয় করেছেন বলে উল্লেখ করলেও বাস্তবে মাছ চাষের কোনো অস্তিত্ব পায়নি দুদক। এরপরও মাছ চাষ করা হয় মর্মে প্রতিবেদন দিয়েছেন কর কর্মকর্তারা।

এসব অভিযোগে এসআই নওয়াব আলী, স্ত্রী গোলজার বেগম, কর অঞ্চল ১ চট্টগ্রামের অতিরিক্ত সহকারী কর কমিশনার বাহার উদ্দিন চৌধুরী (বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত) ও কর পরিদর্শক দীপংকর ঘোষকে আসামী করে আদালতে দুদক অভিযোগপত্র দেয়।

আদালত অভিযোগপত্র গ্রহণ করে এসআই নওয়াব আলী, স্ত্রী গোলজার বেগম, অতিরিক্ত সহকারী কর কমিশনার বাহার উদ্দিন চৌধুরী ও কর পরিদর্শক দীপংকর ঘোষের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ারা জারি করেছিল গত ২৫ ফেব্রুয়ারি।

বাংলাধারা/এফএস/এআই

আরও পড়ুন

এ সম্পর্কিত আরও

সর্বশেষ