চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের আয়োজনে ঈদুল আজহার প্রথম ও প্রধান ঈদ জামাত সকাল সাড়ে ৭টায় নগরীর জমিয়তুল ফালাহ মসজিদের ঈদগাহ ময়দানে অনুষ্ঠিত হবে। এরপর একই ঈদগাহে দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল সাড়ে ৮টায়।
ঈদের প্রথম জামাতে ইমামতি করবেন জাতীয় মসজিদ জমিয়াতুল ফালাহের খতিব সৈয়দ আবু তালেব মোহাম্মদ আলাউদ্দীন আল কাদেরী এবং দ্বিতীয় জামাতে ইমামতি করবেন মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা আহমদুল হক। এ ব্যাপারে চসিকের উদ্যোগে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
ঈদ-উল-আযহার কেন্দ্রীয় জামাতের জন্য চট্টগ্রামের জমিয়তুল ফালাহ ঈদগাহ ময়দান সম্পূর্ণ প্রস্তুত জানিয়ে মেয়র রেজাউল করিম বলেন, ‘চট্টগ্রামের কেন্দ্রীয় ঈদ জামাতের জন্য জমিয়তুল ফালাহ ঈদগাহ ময়দান সম্পূর্ণ প্রস্তুত। এবার সকাল সাড়ে ৭টায় ও সাড়ে ৮টায় দুটি জামাতে নামাজের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মুসল্লিদের সুবিদার্থে ১৫০টি ফ্যান, আর সামিয়ানা থাকবে। অজু করার জন্য মসজিদের অজুখানার পাশাপাশি অতিরিক্ত গাড়িতে পানির সুব্যবস্থা করা হয়েছে। নিরাপত্তার জন্য থাকছে সিসিটিভি মনিটরিংসহ পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রশিক্ষিত সদস্যরা। পাশাপাশি ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের তত্ত্বাবধানে ওয়ার্ডগুলোতে ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে।’
মেয়র বলেন, ‘স্বাভাবিক বৃষ্টিতে নামাজ বিঘ্নিত না হওয়ার জন্য মসজিদের আশপাশের নালাগুলো পরিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়া বৃষ্টি হলে পানির ঝাপটা থেকে বাঁচতে স্টেজের চারপাশে কাপড়ের পর্দা দেয়া হবে। তবে অস্বাভাবিক বৃষ্টিতে পানি উঠলে মসজিদের ভিতরে জামাত হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সকাল ১১টা থেকে কোরবানির বর্জ্য পরিচ্ছন্ন করা শুরু করব। প্রাকৃতিক কোন দুর্যোগ না ঘটলে বিকাল ৫টার মধ্যে নগরীকে বর্জ্যমুক্ত করা প্রস্তুতি নিয়েছি আমরা। অল্প কিছু প্রান্তীয় এলাকায় কিছু জটিলতার কারণে সর্বোচ্চ সন্ধ্যা লাগতে পারে শেষ হতে। ৪ হাজার ৩শ শ্রমিক ৩৪৫টি ট্রাকসহ অন্যান্য যানবাহন দিয়ে বর্জ্য পরিষ্কার করবে। এছাড়া এবার আমরা পশুর নাড়ি-ভুড়ি নেয়ার জন্য পলিব্যাগও দিচ্ছি।’
মঙ্গলবার (২৭ জুন) নগরীর জমিয়তুল ফালাহ মসজিদের মাঠে চট্টগ্রামের কেন্দ্রীয় জামাতের প্রস্তুতি পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন তিনি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন প্যানেল মেয়র গিয়াস উদ্দিন, কাউন্সিলর আবদুস সালাম মাসুম, পুলক খাস্তগীর, মেয়রের একান্ত সচিব ও প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মুহাম্মদ আবুল হাশেম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আকবর আলী, ঝুলন কুমার দাশ, উপ-সচিব আশেক রসুল চৌধুরী (টিপু), নির্বাহী প্রকৌশলী মির্জা ফজলুল কাদের, তৌহিদুল হাসান, সহকারী প্রকৌশলী ইমরান হোছাইন খোকা, অনিক দাশগুপ্ত, শাফকাত বিন আমিনসহ চসিকের কর্মকর্তারা।
প্রসঙ্গত, জমিউতুল ফালাহ জাতীয় মসজিদ ছাড়াও ঈদ জামাত লালদীঘি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন শাহী জামে মসজিদ, হযরত শেখ ফরিদ (র.) চশমা ঈদগাহ মসজিদ, সুগন্ধা আবাসিক এলাকা জামে মসজিদ, চকবাজার সিটি কর্পোরেশন জামে মসজিদ, জহুর হকার্স মার্কেট জামে মসজিদ, দক্ষিণ খুলশী (ভিআইপি) আবাসিক এলাকা জামে মসজিদ, আরেফীন নগর কেন্দ্রীয় কবরস্থান জামে মসজিদ, সাগরিকা গরুবাজার জামে মসজিদ এবং মা আয়েশা সিদ্দিকী চসিক জামে মসজিদে (সাগরিকা জহুর আহমদ চৌধুরী স্টেডিয়াম সংলগ্ন) অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়াও নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলরগণের তত্ত্বাবধানে একটি করে প্রধান ঈদ জামাত স্ব স্ব মসজিদ ও ঈদগাহে অনুষ্ঠিত হবে।













