দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয় রোববার সকাল ৮টায়। জাতীয় সংসদের ৩০০ আসনের মধ্যে ২৯৯টিতে একযোগে ভোটগ্রহণ চলে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। চট্টগ্রামের ১৬টি আসনের মধ্যে ফলাফলে যারা এগিয়ে যারা তারা হলেন—
চট্টগ্রাম-৯
চট্টগ্রাম-৯ (বাকলিয়া-কোতোয়ালী) আসনে বিপুল ভোটে এগিয়ে আছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। ৪১টি কেন্দ্রে নৌকার এই প্রার্থী পেয়েছেন ৪৩ হাজার ৮৪৯ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির সানজিদ রশিদ চৌধুরী লাঙল প্রতীকে পেয়েছেন ৪৬৮ ভোট। তৃতীয় অবস্থানে রয়েছেন ইসলামী ফ্রন্টের আবু আজম। মোমবাতি প্রতীকে তাঁর ভোট ৪৪৫।
এই আসনে মোট ভোটার চার লাখ নয় হাজার ৫৭৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার দুই লাখ ১১ হাজার ৭৩৮ জন, নীরী ভোটার এক লাখ ৯৭ হাজার ৮৩০ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার আটজন। এই আসনে ১৪২টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
চট্টগ্রাম-৫
চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী) আসনের ৩১ কেন্দ্রে ৫ হাজার ১০ ভোট পেয়ে এগিয়ে রয়েছেন জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ চৌধুরী। এখানে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কেটলি প্রতীকের মুহাম্মদ শাহজাহান চৌধুরী পেয়েছেন ৩ হাজার ৭৩৮ ভোট।
এই আসনে মোট কেন্দ্র ১৪৬টি। মোট ভোটার ৪ লাখ ৭২ হাজার ১০৮ জন। আসনটিতে পুরুষ ভোটার রয়েছেন ২ লাখ ৪২ হাজার ৯৬৩ জন, নারী ভোটার ১ লাখ ৫০ হাজার ৭০৩ জন।
এর আগে রোববার (৭ জানুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত সারাদেশে ২৯৯টি আসনে ভোটগ্রহণ হয়। এখন চলছে গণনা।
বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ছাড়া মোটামুটি শান্তিপূর্ণভাবে হয়েছে ভোটগ্রহণ। সকালে ভোটার উপস্থিতি কিছুটা কম হলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটার বাড়ে। বিকেল ৩টা পর্যন্ত ৭ ঘণ্টায় ভোট পড়ে ২৭ দশমিক ১৫ শতাংশ।
চট্টগ্রাম-৮
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচনে চট্টগ্রাম-৮ (চান্দগাঁও-বোয়ালখালী) আসনে ৭৮টি কেন্দ্রের ফলাফলে এগিয়ে আছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুচ ছালাম। কেটলি প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৩৩ হাজার ৫৩৮ ভোট। তাঁর নিকটতম আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয় কুমার চৌধুরী (ফুলকপি) পেয়েছেন ২৬ হাজার ৫৭০ ভোট।
সন্ধ্যায় ভোটগণনা শেষে বোয়ালখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তা ইমরান হোসাইন সজীব এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তার তথ্যমতে, চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী অংশ) আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৮৯ হাজার ৪০। ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ৭৮। এতে আবদুচ ছালাম (কেটলি) ৩৩ হাজার ৫৩৮, বিজয় কুমার চৌধুরী (ফুলকপি) ২৬ হাজার ৫৭০, মোমবাতি প্রতীকের মো. আব্দুন নবী ৪ হাজার ২১০ এবং লাঙ্গল প্রতীকে সোলায়মান আলম শেঠ পেয়েছেন ২ হাজার ৬৬৪ ভোট।
চট্টগ্রাম-১১
চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর-পতেঙ্গা) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এম এ লতিফ ৯৭টি কেন্দ্রে এগিয়ে আছেন। নৌকা প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৩০ হাজার ১৮০ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ‘আওয়ামী’ স্বতন্ত্র প্রার্থী কেটলি প্রতীকে জিয়াউল হক সুমন পেয়েছেন ২৬ হাজার ৭৪৫ ভোট। আসনটিতে মোট কেন্দ্র ১৫২টি।
রোববার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম জিমনেশিয়াম মিলনায়তনে ফলাফল ঘোষণা কেন্দ্র থেকে সর্বশেষ এ তথ্য পাওয়া গেছে। ফলাফল ঘোষণা করছেন জেলা প্রশাসনের স্থানীয় সরকার বিভাগের পরিচালক আনোয়ার পাশা।













