অপ্রাপ্তবয়স্ক এক কিশোরীকে বিয়ের উদ্দেশ্যে ভারতে থেকে বাংলাদেশে আসেন সুশান্ত নাথ (৩০)। তবে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শুরুর আগেই ভ্রাম্যমাণ আদালতের হস্তক্ষেপে ধরা পড়েন তিনি। পরে ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই বাংলাদেশ ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয় ওই ভারতীয় নাগরিককে।
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে সীতাকুণ্ড উপজেলার দক্ষিণ বাঁশবাড়িয়া এলাকার বাদামতলিতে লক্ষণ চন্দ্রনাথের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, অভিযুক্ত সুশান্ত নাথ ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের নদীয়া জেলার শান্তিপুর থানার চাঁদরা গ্রামের বাসিন্দা। আত্মীয়ের মাধ্যমে নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে বিয়ের জন্য বিয়ের আয়োজন চলছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মামুনের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালতের একটি দল হঠাৎ করে বিয়েবাড়িতে অভিযান চালায়।
তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে কিশোরীর বাবা-মাসহ অন্যান্য আত্মীয়রা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তবে প্রশাসনের কড়াকড়িতে শেষপর্যন্ত সবাইকে উপস্থিত হতে বাধ্য করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, বিয়ের মূল পরিকল্পনায় ছিলেন বর সুশান্ত নাথের খালা দীপালী বালা নাথ। ভ্রাম্যমাণ আদালত তাঁকে বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন, ২০১৭ অনুযায়ী ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। একই সঙ্গে মেয়েটির পরিবারকে ১৮ বছর পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে না দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, “বাল্যবিয়ে একটি দণ্ডনীয় অপরাধ। এ ধরনের বিয়ে ঠেকাতে আমরা নিয়মিত নজরদারি করছি। অভিযুক্ত আয়োজককে জরিমানা করা হয়েছে এবং মেয়েটির পরিবারকে আইনি বাধ্যবাধকতা সম্পর্কে সচেতন করা হয়েছে। এছাড়া, বিদেশি নাগরিক হিসেবে বরকে দ্রুত বাংলাদেশ ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”
এআরই/বাংলাধারা