চট্টগ্রামে হঠাৎ করেই দেখা দিয়েছে ভয়াবহ গ্যাস সংকট। শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন নগরবাসী। রান্নাঘর থেকে রেস্টুরেন্ট, সিএনজি ফিলিং স্টেশন থেকে শিল্পকারখানা—সবখানেই গ্যাস নেই।
গৃহিণীরা বাধ্য হয়ে বিকল্প ব্যবস্থায় রান্না করছেন, কেউ কেউ হোটেল থেকে পার্সেল এনে খাবার সংগ্রহ করছেন। নগরের কাজীর দেউড়ি এলাকার গৃহিণী কুমকুম আজাদ বলেন, ‘সকাল থেকে চুলা জ্বলেনি। বিকেলের দিকে কিছুটা গ্যাস আসে, কিন্তু চাপ এত কম যে রান্না করা সম্ভব হয়নি।’
গ্যাস সংকটে সিএনজি ফিলিং স্টেশনগুলোর সামনেও দেখা গেছে বিশাল যানজট। সিআরবি এলাকার ফোর স্টার সিএনজি রিফুয়েলিং স্টেশন ও টাইগারপাস ইন্ট্রাকো সিএনজি স্টেশনের সামনে দীর্ঘ লাইন পড়ে যায়। চালক মোহাম্মদ মানিক জানান, ‘সকাল থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে আছি, গ্যাস না থাকায় গাড়ি চালানো যাচ্ছে না।’
এই সংকটের কারণে নগরীতে গণপরিবহনও কম ছিল, ফলে কর্মজীবী মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে। লালখান বাজার, বহদ্দারহাট ও মুরাদপুর মোড়ে যাত্রীদের দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে দেখা গেছে।
কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (কেজিডিসিএল) জানিয়েছে, আমদানি করা লিকুইফাইড ন্যাচারাল গ্যাস (এলএনজি) টার্মিনাল থেকে সরবরাহ বন্ধ থাকায় এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। কেজিডিসিএলের মহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মো. শফিউল আজম খান বলেন, ‘চট্টগ্রামের চাহিদার তুলনায় গ্যাস সরবরাহ কম থাকায় এই সংকট দেখা দিয়েছে। এলএনজি টার্মিনাল থেকে গ্যাস সরবরাহ পুনরায় শুরু হলে পরিস্থিতির উন্নতি হবে।’
নগরজুড়ে গ্যাস সংকটের কারণে মানুষের জীবনযাত্রায় অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। ভোক্তারা চাইছেন, আগাম সতর্কতা ও বিকল্প ব্যবস্থার মাধ্যমে ভবিষ্যতে যেন এমন সংকট আর না হয়।













