২৫ অক্টোবর ২০২৫

দ্বিতীয় দিনেও চেম্বারে বসেননি চিকিৎসকরা, দুর্ভোগে রোগীরা

সেন্ট্রাল হাসপাতালের ঘটনায় দুই নারী চিকিৎসককে গ্রেফতারের প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে চট্টগ্রামেও দ্বিতীয় দিনের মত বন্ধ রেখেছে সব ধরনের প্রাইভেট চেম্বার–অপারেশন চিকিৎসকরা।

কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ১৭ ও ১৮ জুলাই অবস্ট্রেট্রিক্যাল অ্যান্ড গাইনোকোলজি সোসাইটি অব বাংলাদেশ (ওজিএসবি) চট্টগ্রাম শাখার সদস্যরা বন্ধ রেখেছেন সব ধরনের অস্ত্রোপাচার। সেই সাথে রোগী দেখাও বন্ধ প্রাইভেট চেম্বারে। এতে ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন রোগীরা।

নগরীর বিভিন্ন প্রাইভেট চেম্বার ঘুরে দেখা যায়, ব্যক্তিগত চেম্বারে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও তার স্বজনরা পড়েছেন চরম বিপাকে। চেম্বারের বাইরে অপেক্ষারত কিছু রোগীর সাথে কথা হলে তারা জানান, একেতো ডাক্তারদের সিরিয়াল নিতে কষ্ট। একটা সিরিয়াল পেতে সময় লেগে যায় দুই তিন দিনের বেশি। আজকের ডাক্তারের সিরিয়াল পাব সে আশায় রোগী নিয়ে এসেছি। কিন্তু এখানে এসে জানতে পারি ডাক্তারদের আন্দোলন চলছে, তাই তারা রোগী দেখবেন না।

দেলোয়ার নামের একজন বলেন, ‘আমার বোন ও ভাগ্নিকে নিয়ে ডাক্তার দেখাতে এসেছি। তবে এখানে এসে দেখি চেম্বারে ডাক্তার নেই, রোগীরা বসে আছে। পরে শুনি- ডাক্তাররা আন্দোলনের আছেন। তারা রোগী দেখবেন না। আমরা যারা শহরের বাইরে থেকে ডাক্তার দেখাতে এসেছি তাদের জন্য এইটা একটা চরম ভোগান্তি কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।’

গত শনিবার (১৫ জুলাই) সেন্ট্রাল হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. শাহজাদী মুস্তার্শিদা সুলতানা ও ডা. মুনা সাহাকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে গাইনি ও প্রসূতি চিকিৎসকদের সংগঠন অবস্টেট্রিক্যাল অ্যান্ড গাইনোকোলজিক্যাল সোসাইটি অব বাংলাদেশ (ওজিএসবি) এ কর্মসূচির কথা ঘোষণা করেছিল। তারই বাস্তবায়নে চট্টগ্রামে এই আন্দোলন কর্মসূচি পালিত হচ্ছে।

এছাড়াও এই আন্দোলনকে সহমত জানিয়ে বাংলাদেশ ডেন্টাল সোসাইটি ও বাংলাদেশ অটিজম অ্যান্ড ডিজএবিলিটি ইন্সটিটিউট (বাডি) তাদের প্রাইভেট চেম্বার ও অপারেশন বন্ধ রেখেছেন। এ অবস্থায় যারা নিয়মিত চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে আছেন, তারা পড়েছেন ভোগান্তিতে।

অবস্ট্রেট্রিক্যাল অ্যান্ড গাইনোকোলজি সোসাইটি অব বাংলাদেশ (ওজিএসবি)’র চট্টগ্রাম শাখার সভাপতি অধ্যাপক ডা. কামরুন্নেছা রুনা গণমাধ্যমকে দেয়া এক বক্তব্যে বলেন, ‘কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চট্টগ্রামের গাইনি চিকিৎসকদের ব্যক্তিগত সকল চেম্বার বন্ধ রাখা হয়েছে। কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া হবে। আমাদের আন্দোলনের সঙ্গে অন্যান্য চিকিৎসকরাও একমত প্রকাশ করে চেম্বার বন্ধ রেখেছেন। আজ কর্মবিরতির শেষে আবার বিএমএর সঙ্গে বসে পরবর্তী আন্দোলনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

আরও পড়ুন