৩১ অক্টোবর ২০২৫

চট্টগ্রামে নতুন করে ৩৭২ জনের করোনা শনাক্ত, মৃত্যু ৫

বাংলাধারা প্রতিবেদন »

চট্টগ্রামে একদিনে নতুন করে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৭২ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৪১ জন এবং ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে চারজন উপজেলার ও একজন নগরের।

চট্টগ্রামে একদিনে ১ হাজার ৩৪৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৩৭২ জনের দেহে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। নতুন শনাক্তদের মধ্যে ২৫৯ জন নগরের ও ১১৩ জন বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা। বুধবার (১ জুলাই) সকালে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি এসব তথ্য জানান।

এ নিয়ে চট্টগ্রামে ৮ হাজার ৮৫২ জনের মধ্যে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে; এর মধ্যে ৬ হাজার ৯৮ জন নগরের ও ২ হাজার ৭৫৪ জন বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা। এখন পর্যন্ত করোনায় মারা গেছেন মোট ১৭৮ জন; এর মধ্যে ১৩৪ জন নগরের ও ৪৪ জন উপজেলার বাসিন্দা।

চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি, গতকাল মঙ্গলবার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ১৮৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করে নগরের ৩১ জন ও বিভিন্ন উপজেলার ২৯ জনের করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে।

মঙ্গলবার ফৌজদারহাটের বিআইটিআইডিতে ৩১০ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৩৯ জনের দেহে করোনার জীবাণু পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ৩০ জন নগরের ও ৯ জন উপজেলা পর্যায়ের বাসিন্দা। এছাড়া চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে মঙ্গলবার ৩১৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করে নগরের ৬১ ও উপজেলার ১২ জনের করোনা মিলেছে।

এদিকে চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ইউনিভার্সিটির (সিভাসু) ল্যাবে মঙ্গলবার ১৪৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করে চট্টগ্রামের ৩৬ জনের করোনা মিলেছে। এর মধ্যে ৬ জন নগরের ও ৩০ জন বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা। কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে চট্টগ্রামের ২৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১০ জনের দেহে করোনার জীবাণু মিলেছে।

বেসরকারি ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ল্যাবে ১৫৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করে নগরের ৩৬ জন ও উপজেলার ৮ জনের করোনা পাওয়া গেছে। শেভরণ ল্যাবে ২০৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১১০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে ৯৫ জন নগরের ও ১৫ জন উপজেলার বাসিন্দা।

উপজেলা পর্যায়ে নতুন শনাক্ত ১১৩ জনের মধ্যে সাতকানিয়ার ১৩, বাঁশখালীর ৭, আনোয়ারার ৪, চন্দনাইশের ৭, পটিয়ার ৮, বোয়ালখালীর ৪, রাঙ্গুনিয়ার ১৯, রাউজানের ১৫, ফটিকছড়িতে ৭, হাটহাজারীতে ২১, মিরসরাইয়ের ৩ ও সীতাকুণ্ডের ৫ জন আছেন।

গত ২৪ ঘন্টায় চট্টগ্রাম নগরের ৪১ জন সুস্থ হয়েছেন; চট্টগ্রামে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন মোট ১ হাজার ৬৫ জন করোনা রোগী।

বাংলাধারা/এফএস/টিএম/এএ

আরও পড়ুন