চট্টগ্রামে প্রথমবারের মতো জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত দুই রোগী শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তরা একজন ৪২ বছর বয়সী পুরুষ ও একজন নারী। তাদের শরীরে মশাবাহিত এই ভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।
সোমবার (৭ জুলাই) চট্টগ্রাম নগরীর একটি বেসরকারি ল্যাব এপিক হেলথ কেয়ারে পরীক্ষায় ভাইরাসটির প্রাথমিক অস্তিত্ব ধরা পড়ে।
জেলা ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ তৌহিদুল আনোয়ার জানান, পুরুষ রোগীর জ্বর, শরীরব্যথা ও লালচে দানার মতো র্যাশ দেখা গেছে। অন্যদিকে, নারী রোগীর জ্বর, হাত-পা ব্যথা ও ফুলে যাওয়ার উপসর্গ রয়েছে। প্রাথমিকভাবে তাদের রক্তে জিকা ভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হলেও এটি নিশ্চিত করতে আরও পরীক্ষার প্রয়োজন রয়েছে, কারণ ব্যবহৃত কিটটি একাধিক ভাইরাস শনাক্তে সক্ষম একটি কম্বাইন কিট।
চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, আক্রান্তদের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে এবং আজ (মঙ্গলবার) থেকে তাদের চিকিৎসা ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার কাজ শুরু হয়েছে।
চিকিৎসকদের মতে, জিকা ভাইরাসের নির্দিষ্ট কোনো চিকিৎসা নেই। সাধারণত উপসর্গভিত্তিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। বিশ্রাম, প্রচুর পানি ও তরল খাবার গ্রহণ এবং জ্বর বা ব্যথার ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শমতো ওষুধ গ্রহণ করতে হবে। উপসর্গ গুরুতর হলে হাসপাতালে ভর্তি করাও প্রয়োজন হতে পারে।
আইইডিসিআরের তথ্যমতে, জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত ৮০ শতাংশ রোগীর উপসর্গ দেখা যায় না। তবে বাকি ২০ শতাংশের মধ্যে দেখা যেতে পারে—মাথাব্যথা, চোখ লাল হওয়া, গিঁট ও মাংসপেশিতে ব্যথা এবং চামড়ায় লালচে দানার মতো র্যাশ। সাধারণত সংক্রমণের ৩ থেকে ১২ দিনের মধ্যে এসব উপসর্গ দেখা দেয় এবং তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হয়।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে প্রথম জিকা ভাইরাস শনাক্ত হয় ২০১৪ সালে। তবে এবারই প্রথম চট্টগ্রামে রোগটি শনাক্ত হলো, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সতর্কবার্তা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এ অবস্থায় মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধির আহ্বান জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
এআরই/বাংলাধারা













