৬ নভেম্বর ২০২৫

চট্টগ্রামে প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা দিলো ২৯৩৯৯ শিক্ষার্থী

বাংলাধারা প্রতিবেদক »

১৩ বছর পর পঞ্চম শ্রেণির প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে ২৯ হাজার ৩৯৯ জন শিক্ষার্থী। ইংরেজি ভার্সনে পরীক্ষা দিয়েছে ৩৩৩ জন। প্রাথমিকে পঞ্চম শ্রেণিতে সবশেষ বৃত্তি পরীক্ষা হয়েছিল ২০০৮ সালে।

শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত নগরের ১৪টি ও ১৫ উপজেলার ২৭টিসহ মোট ৪১টি কেন্দ্রে বাংলা, ইংরেজি, প্রাথমিক গণিত ও প্রাথমিক বিজ্ঞান বিষয়ে ১০০ নম্বরের এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

২০০৯ সাল থেকে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিএসসি) শুরু হলে বন্ধ হয়ে যায় বৃত্তি পরীক্ষা। পিএসসির ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে তখন শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেওয়া হতো। গত তিন বছর করোনার কারণে পিএসসি পরীক্ষা হয়নি।

প্রাথমিক শিক্ষা চট্টগ্রাম বিভাগীয় উপ-পরিচালক (ডিডি) ও চট্টগ্রাম জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার (ডিপিইও) মো. শহীদুল ইসলাম কোতোয়ালী থানার গুলএজার বেগম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ডবলমুরিং থানাধীন লালখান বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কোতোয়ালী থানাধীন সরকারি ন্যাশনাল প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। এসময় সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার রিটন কুমার বড়ুয়া, কোতোয়ালী থানা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. হারুন-উর রশিদ উপস্থিত ছিলেন।

চট্টগ্রাম জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার (ডিপিইও) মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘ ১৩ বছর পর আবারও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনায় শিক্ষার্থীরা বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে। দীর্ঘ বছর পর বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ায় অভিভাবকরাও আনন্দিত।

তিনি জানান, বিভিন্ন উপজেলার কেন্দ্রগুলোতে সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, সহকারী শিক্ষা অফিসার ও সংশ্লিষ্ট শিক্ষকরা বৃত্তি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার দায়িত্বে ছিলেন। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও পরীক্ষা কেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করেছেন।

প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের লক্ষ্যে বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত পঞ্চম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে মেধাভিত্তিক সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ শিক্ষার্থীকে মনোনীত করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা।

আরও পড়ুন