জালালউদ্দিন সাগর »
গত মার্চ মাস থেকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে নগরীর মার্কেট ও শপিংমল বন্ধ। সরকারী ঘোষণায় হঠাৎ করে মার্কেটগুলো বন্ধ হয়ে গেলে বিপাকে পড়েন দোকানে কর্মরত হাজার হাজার শ্রমিক। ব্যবসা বন্ধ তাই আয় নাই-এই অজুহাতে দোকানের কর্মচারীদের বেতন দেন নি অধিকাংশ দোকানের মালিক।
১০ মে থেকে মার্কেটগুলো খুলছে-সরকারের এমন ঘোষণায় বকেয়া বেতন পাওয়ার ক্ষীন আশা দেখা দিলেও ইদের আগে ব্যবসায়ীদের দোকান না খোলার সিদ্ধান্ত অন্ধকারে ফেলে দিয়েছে মার্কেট ও শপিং মলে কর্মরত প্রায় ২০ হাজার পরিবারকে।
জনস্বার্থে মার্কেট বন্ধ রাখার উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে শপিংমলে কর্মরত কর্মচারীদের দাবী, বছরের পর বছর ব্যবসা করে আমরা দোকানের মালিককে মুনাফা করে দিয়েছি অথচ এই মহামারির সময়ে আমাদের বেতন-ভাতা দিতে ব্যবসায়ীদের এতো গড়িমসি কেন?
তারা আরও বলেন, সামান্য বেতন দিয়ে আমাদের সংসার চলে। সে বেতনও যদি আমাদের না দেয়া হয় তাহলে আমাদের সন্তানদের মুখে ভাত জুটবে কী করে?
সিটি মেয়র, পুলিশ কমিশনার ও জেলা প্রশাসকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে শপিংমলে কর্মরত এক কর্মচারীরা বলেন, দয়া করে আমাদের বাঁচান। আমার সন্তানদের বাঁচান!
দোকানের কর্মচারীরা বেতন না পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে সানমার ও ফিনলে স্কোয়ারের দোকান মালিক সমিতির সভাপতি আসাদ বলেন, এমন অভিযোগ আমাদের কাছেও এসেছে। আমরা সব দোকান মালিককে অনুরোধ করেছি তারা যাতে কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করেন।
যে সেব মার্কেট বন্ধ ঘোষণা করা হইসে
সানমার ওশান সিটি, মিমি সুপার মার্কেট, ফিনলে স্কয়ার, আফমি প্লাজা, চিটাগাং শপিং কমপ্লেক্স, কল্লোল সুপার মার্কেট, আমিন সেন্টার, সেন্ট্রাল প্লাজা, খুলশী কনকর্ড টাউন সেন্টার, নিউ মার্কেট, আখতারুজ্জামান সেন্টার, ইউনেস্কো সিটি সেন্টার, সিঙ্গাপুর-ব্যাংকক মার্কেট এবং লাকি প্লাজাসহ ছোটবড় ৫০টি মার্কেট ও শপিংমলে কর্মরত ৫হাজার শ্রমিকের পরিবারের ২০ হাজার সদস্য দূর্ভোগে পড়েছে।
বাংলাধারা/এফএস/টিএম













