২৪ অক্টোবর ২০২৫

চট্টগ্রামে বাংলা ব্লকেড: কোটা বাতিলের দাবিতে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ

নগরীর দুই নম্বর গেট এলাকায় জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের জন্য নির্ধারিত ৩০ শতাংশ প্রমোশন কোটা বাতিলের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা

বুধবার (১৬ এপ্রিল) দুপুর থেকে ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচির আওতায় শতাধিক শিক্ষার্থী প্ল্যাকার্ড হাতে সড়কে অবস্থান নেন এবং ছয় দফা দাবি তুলে ধরে বিভিন্ন স্লোগান দেন। আন্দোলনকারীরা জানান, ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টররা কারিগরি শিক্ষার উপযুক্ত নন। তাদের অধিকাংশের শিক্ষাগত যোগ্যতা অষ্টম শ্রেণি বা এসএসসি পাস, এবং তারা মূলত ল্যাব সহকারী হিসেবে কাজ করেন। তাদের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হলে প্রকৃত কারিগরি শিক্ষার মান ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে দাবি শিক্ষার্থীদের।

শিক্ষার্থীদের ছয় দফা দাবিগুলো হলো:

  • জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে আবশ্যিকভাবে ডিপ্লোমা ডিগ্রিধারীদের নিয়োগ দিতে হবে।
  • ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরসহ সব পদে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত জনবল নিয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।
  • পলিটেকনিক ছাত্রদের জন্য বিভাগীয় শহরগুলোতে দ্রুত প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করতে হবে।
  • ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক পদে আবেদন করার সুযোগ বাস্তবায়ন করতে হবে।
  • প্রাইভেট সেক্টরে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের জন্য সর্বনিম্ন বেতন নির্ধারণ করতে হবে।
  • জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের জন্য নির্ধারিত ৩০ শতাংশ কোটা বিলুপ্ত করতে হবে।

এ সময় সড়ক অবরোধের ফলে মুরাদপুর-বহদ্দারহাট এবং জিইসি অভিমুখী রাস্তায় তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। এতে যাত্রী ও সাধারণ মানুষের ভোগান্তি চরমে পৌঁছে।এর আগেও গত ২০ মার্চ একই দাবিতে শিক্ষার্থীরা সড়ক ও রেললাইন অবরোধ করে প্রায় আড়াই ঘণ্টা বিক্ষোভ করেছিলেন।

প্রসঙ্গত, জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদটি মূলত ডিপ্লোমা ইনজিনিয়ারদের জন্য নির্ধারিত। তারা বিভিন্ন কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে শিক্ষকতা করেন। তবে সাম্প্রতিক হাইকোর্টের এক রায়ের ফলে ৮ম শ্রেণি, এসএসসি (ভোকেশনাল) ও এইচএসসি পাস ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের এই পদে পদোন্নতির সুযোগ দেওয়ায় ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীদের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে।

এআরই/বাংলাধারা

আরও পড়ুন