২৪ অক্টোবর ২০২৫

চট্টগ্রামে বিএনপির ইফতার বিতরণে সংঘর্ষ, মামলা ও গ্রেপ্তার

চট্টগ্রামের ডবলমুরিং থানাধীন মিস্ত্রিপাড়া এলাকায় ইফতারসামগ্রী বিতরণকে কেন্দ্র করে বিএনপির দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) রাতে ছুরিকাঘাতে আহত বিএনপি নেতা খুরশিদ আলম (৪৮) বাদী হয়ে ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ৪০-৫০ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।

ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী রফিকুল ইসলাম মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, সংঘর্ষের ঘটনায় রাতেই অভিযান চালিয়ে মোহাম্মদ সোহেল ও রবিউল হোসেন নামের দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের শুক্রবার (২৮ মার্চ) আদালতে পাঠানো হয়েছে এবং বাকি আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

মামলার আসামিদের মধ্যে রয়েছেন—মিস্ত্রিপাড়ার মুছা মেম্বারের বাড়ি আব্দুর সবুর মিস্ত্রি (৪০), ওয়াপদা কলোনির অলী মিয়া কন্ট্রাক্টরের বাড়ি , দেলোয়ার (৩৫), মিস্ত্রিপাড়ার জমির সওদাগরের বাড়ি রেজাউল করিম (৪০),সৈয়দ আহম্মদের বাড়ি মোস্তাক আহম্মেদ বাবলু (৫০),পশ্চিম মিস্ত্রিপাড়া মো. হাসান (৩৮), আসকারাবাদ মো. সোহেল (৩৮),মিস্ত্রিপাড়ার মধুর বাড়ি
জসিম আল রশিদ (৪২),শ্চিম মিস্ত্রিপাড়া জেবল আহম্মদ লেন রিয়াজ উদ্দিন (৪৫), মো. হৃদয় (৩০), শওকত হোসেন বাবুল (৪৫),
মো. বেলাল হোসেন উজ্জল (৪০),শামছুল হুদা চৌধুরী (৫০), মো. আলম (৩৫), মো. ছাবের (৪০)।

বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) বিকাল ৫টার দিকে জিয়া মঞ্চ আয়োজিত ইফতারসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে এই সংঘর্ষ ঘটে। জানা গেছে, জিয়া মঞ্চের থানা কমিটির আহ্বায়কের অনুসারীরা সেখানে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে ইফতার বিতরণ করছিল। এ নিয়ে আপত্তি তুললে অপর পক্ষের সঙ্গে বিতণ্ডা শুরু হয়, যা একপর্যায়ে সংঘর্ষে রূপ নেয়।

সংঘর্ষে বিএনপি নেতা খুরশিদ আলম (৪৮) ও আবু বক্কর হোসেন রাকিব গুরুতর আহত হন। খুরশিদ আলমকে ছুরিকাঘাত করা হয়, আর রাকিবকে রড দিয়ে আঘাত করা হয়। পরে তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) ভর্তি করা হয়, যেখানে তারা বর্তমানে ২ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন আছেন।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানিয়েছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এলাকায় অতিরিক্ত নজরদারি বাড়ানো হয়েছে এবং তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

এআরই/বংলাধারা

আরও পড়ুন