২৮ অক্টোবর ২০২৫

চট্টগ্রামে বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতের দাবিতে ক্যাবের মানববন্ধন

বাংলাধারা প্রতিবেদন »  

চট্টগ্রামের সকল বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে সব ধরণের চিকিৎসা নিশ্চিতের দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করেছে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম।

বৃহস্পতিবার (৪ জুন) নগরীর জামালখান চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব চত্বরে এ প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়।

সভায় বক্তারা বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, বেসরকারী হাসপাতালে চিকিৎসা না পাবার মূল কারণ, কিছু চিকিৎসক, তাঁরা একদিকে সরকারী হাসপাতালের চিকিৎসক আবার অন্যদিকে বেসরকারী ক্লিনিকের মালিক। কিছু চিকিৎসকদের দুধরণের ভুমিকার কারনে মানুষ সরকারী হাসপাতালে চিকিৎসা পায় না আর বেসরকারী ক্লিনিকে গিয়েও জিম্মি। সরকার সরকারী-বেসরকারি সকল হাসপাতালে সকল রোগীদের সেবা নিশ্চিতের নির্দেশনা দেন। কিন্তু চট্টগ্রামের কিছু বেসরকারী ক্লিনিকের মালিক ও কতিপয় বিএমএ নেতারা যোগসাজসে প্রশাসনকে নানা ভাবে বিভ্রান্ত করে কোভিড পরীক্ষার রেজাল্ট প্রদর্শন, করোনা সেবা দিলে সাধারন রোগীদের অসুবিধা হবে ইত্যাদি অযুহাতে কোন রোগী ভর্তি না করে হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে পুরো চট্টগ্রাম নগর জুড়ে চিকিৎসা সেবার জন্য হাহাকার।

বক্তাগন আরও অভিযোগ করে বলেন, ক্লিনিকে সেবা পেতে রোগীদের ভোগান্তি, হয়রানি, সেবা না পাওয়া, লাগামহীন ও গলাকাটা সেবা মূল্য আদায়, স্বাস্থ্য সেবাপ্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলিতে নজরদারির অভাব ইত্যাদি সরকারী-বেসরকারী হাসপাতালগুলির নিত্যদিনকার চিত্র হলেও কার্যত কোন ব্যবস্থা গ্রহনে মন্ত্রনালয় সফল হয়নি। জেলা-উপজেলা হাসপাতালে রোগীদের প্রতিনিধিত্ব ছাড়া স্থানীয় সাংসদের নেতৃত্বে একটি অকার্যকর উপদেষ্টা কমিটি থাকলেও বেসরকারী ক্লিনিক ও হাসপাতালগুলির সেবার মান ও রোগীদের ভোগান্তি নিরসনে ঢাকায় অধিদপ্তর ছাড়া স্থানীয়ভাবে কোন তদারকির ক্ষমতা নাই। আবার চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার অফিস বেসরকারী হাসপাতালগুলিতে রোগীদের ভোগান্তি নিরসনে তদারকি কমিটিতে ভোক্তাদের প্রতিনিধি অর্ন্তভুক্ত করা হয়নি। ফলে কিছু সরকারী কর্মকর্তা, বেসরকারী ক্লিনিক মালিক এবং বিএমএর নেতারাই মিলে তাদের মতো করেই রোগীদের ভোগান্তি তদারকি করছেন যা অন্তসার শুণ্য।

বক্তাগন অনতিবিলম্বে করোনা ও সাধারন রোগীর চিকিৎসা নিশ্চিতে বেসরকারী ক্লিনিকগুলিকে আগামি ১ সপ্তাহের মধ্যে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহন, ভোগান্তি নিরসন কমিটিকে মাঠ পর্যায়ে তদারকি করে তার ফলাফল নগরবাসীকে দৈনিক অবহিতকরণ, স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় সুশাসন, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতে স্বাস্থ্য সেবার সাথে জড়িত সকল পক্ষের প্রতিনিধিত্ব ও অংশগ্রহনমলক জনঅংশগ্রহনমুলক স্বাস্থ্য সেবা বাস্তবায়ন করা, সেবা কর্মকান্ডকে নাগরিক পরীবিক্ষনের আওতায় আনা, সরকারী স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উপর জনগনের আস্থা ফিরিয়ে আনতে মন্ত্রী, এমপি ও সরকারী উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের দেশীয় সরকারী হাসপাতালে চিকিৎসা করা বাধ্যতামুলক দাবি জানানো হয়। অন্যতায় বেসরকারী ক্লিনিক/হাসপাতাল ঘেরাও, পুরো চট্টগ্রাম জুড়ে অবস্থান ধর্মঘট, ক্লিনিক বয়কট করার কর্মসূচি গ্রহন করা হবে।

ক্যাব চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারন সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরীর সভাপতিত্বে ও ক্যাব ডিপিও জহুরুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভায় সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সদস্য মুহাম্মদ মর্হরম হোসাইন, ক্যাব চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা সভাপতি আলহাজ্ব আবদুল মান্নান, ক্যাব মহানগরের সহ-সভাপতি হাজী আবু তাহের, চট্টগ্রাম মহানগর যুগ্ন সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম, কোতোয়ালী থানা আওয়ামীলীগ নেতা হাসান মনসুর, ক্যাব যুব গ্রুপের সভাপতি চৌধুরী কে এনএম রিয়াদ, চান্দগাঁও থানা সভাপতি মোহাম্মদ জানে আলম, যুব নেতা ইমতিয়াজ মোর্শেদ খান, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা নুরুল আজিম রনি, সাংবাদিক ওসমান জাহাঙ্গীর, ক্যাব সদর ঘাট থানা সভাপতি শাহীন চেীধুরী, চট্টগ্রাম আইসোলেশন সেন্টারের পরিচালক সাজ্জাদ হোসেন, জাউদ আলী চৌধুরী, ক্যাব জামাল খান ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক নারী নেত্রী নবুয়াত আরা সিদ্দিকী, সাংগঠনিক সম্পাদক হেলাল চৌধুরী প্রমুখ।

বাংলাধারা/এফএস/টিএম

আরও পড়ুন