৫ নভেম্বর ২০২৫

১৩ জুনের মধ্যে জটিলতা নিরসন না হলে কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারি

চট্টগ্রামে মাইলেজ জটিলতা নিরসনসহ নানা দাবিতে ট্রেন চালকদের বিক্ষোভ

বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের রানিং স্টাফদের মাইলেজ জটিলতা নিরসনসহ বিভিন্ন দাবি পূরণের লক্ষে বিক্ষোভ মিছিল ও সংক্ষিপ্ত পথসভা করেছে ট্রেন চালকরা।

রোববার (৪ জুন) বিকেল ৪টায় চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন প্রাঙ্গনে রানিং স্টাফদের মাইলেজ জটিলতা নিরসনের দাবিতে এ বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। এসময় আগামী ১৩ জুনের মধ্যে জটিলতা নিরসন না হলে কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারিও দেন রানিং স্টাফরা।

রানিং স্টাফদের ৭৫ শতাংশ মাইলেজ যোগে পেনশন ও অন্যান্য জটিলতা নিরসন, আইবাস সিস্টেমের মাধ্যমে স্টাফদের বেতন-ভাতা প্রদান, নিয়োগবিধি ২০২০ পরিবর্তন করে স্টাফদের দ্রুত পদোন্নতি, চুক্তি ভিত্তিক ও আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে লোক নিয়োগ বন্ধসহ বিভিন্ন দাবি নিয়ে তাদের এসময় তাদের মিছিল করতে দেখা যায়।

বাংলাদেশ রেলওয়ে রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারী সমিতির যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মির্জা মোহাম্মদ সাহেদ আলী বলেন, রেলওয়েতে রানিং স্টাফ তথা ট্রেনের পরিচালক, ট্রেন টিকিট এক্সামিনার (টিটিই), ট্রেন চালক (এলএম) ও সহকারী ট্রেনচালকের সংকট রয়েছে। এ কারণে রেলওয়ের চাকাকে সচল রাখতে রানিং স্টাফরা প্রতিদিনের স্বাভাবিক কর্মঘণ্টার পরও অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করে আসছে। দ্রুত দাবি বাস্তবায়ন না হলে ১৩ জুন থেকে স্বাভাবিক কর্মঘণ্টার বাইরে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা।

বাংলাদেশ রেলওয়ে রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান বলেন, অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত রানিং স্টাফদের স্বার্থবিরোধী প্রজ্ঞাপনটি আন্দোলনের মুখে প্রত্যহার করে নিলেও ২০২১ সালের ৩ নভেম্বর থেকে অবসরে যাওয়া রানিং স্টাফদের পিআরএল শেষ হলেও মাইলেজ জটিলতার কারণে আজ পর্যন্ত তাদের ফাইনাল স্যাটেলমেন্ট সম্পন্ন হয়নি।

তিনি আরও বলেন, ২০১৭ সালের পর থেকে রানিং স্টাফদের প্রমোশন বন্ধ রয়েছে। জনবল সংকটের কারণে রানিং স্টাফদের উচ্চ পদে দায়িত্ব পালন করাসহ প্রতিদিনের স্বাভাবিক কর্মঘণ্টার পর অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করতে হয়। বিশ্রাম না নিয়েই নতুন করে ডিউটি শুরু করতে হয়। যদি আমাদের দাবি পূরণ না হয় তবে এর পর থেকে আমরা কোনো অতিরিক্ত কাজ করবো না।

আরও পড়ুন

এ সম্পর্কিত আরও

সর্বশেষ