২৬ অক্টোবর ২০২৫

চট্টগ্রামে মারুফ আত্মহত্যার ঘটনায় এসআই হেলালকে বরখাস্তের সুপারিশ

বাংলাধারা প্রতিবেদন »  

চট্টগ্রামের ডবলমুরিং থানার বাদামতলী বড় মসজিদ এলাকায় সালমান ইসলাম মারুফ নামে দশম শ্রেণির এক স্কুল ছাত্র আত্মহত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত এসআই হেলাল খানকে সাময়িক বরখাস্ত করে বিভাগীয় মামলা দায়ের করার সুপারিশ করা হয়েছে।

জানা গেছে, মারুফের আত্মহত্যার ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে কমিটি। এতে মারুফের আত্মহত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত এসআই হেলাল খানের বিরুদ্ধে উঠা সব অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে কমিটি। তাছাড়া অধীনস্ত অফিসারকে নিয়ন্ত্রণ রাখতে ব্যর্থ হওয়ায় ডবলমুরিং থানার ওসি সদীপ দাশকে শোকজ করার সুপারিশ করা হয়েছে। 

সোমবার (২০ জুলাই) বিকেল ৫ টার পর সিএমপি কমিশনার মো. মাহবুবর রহমানকে ১৬ পৃষ্টার এই তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়। 

সিএমপির সূত্র জানিয়েছে, তদন্ত প্রতিবেদনে অভিযুক্তসহ মোট ৩২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। এতে ঘটনার দিন এসআই হেলাল খান থানার ওসিকে অবগত না করে সেখানে বেআইনিভাবে অভিযানে যাওয়ার সত্যতা মিলেছে। এছাড়া তিনি পুলিশি পোশাকেও ছিলেন না। সেকারণে সাময়িক বরখাস্তের পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়েরের সুপারিশ করা হয়েছে। 

উলেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (১৬ জুলাই) এসআই হেলালের হাতে ওই কিশোরের মা-বোন লাঞ্চিত হওয়ার অপমান সইতে না পেরে আত্মহত্যা করে মারুফ।

স্থানীয়রা জানায়, কিছুদিন আগে মারুফের ফোন ও সাইকেল হারিয়ে যায়। এরপর মারুফের বাড়িতে একজনকে উঁকি দিতে দেখা গেলে, তাকে চোর ভেবে মারতে শুরু করে, সেইসময় ওই ব্যক্তি নিজেকে পুলিশের লোক দাবি করলেও তাকে মারতে থাকে তারা। পরবর্তীতে এসআই হেলালউদ্দিন সাদা পোশাকে ঘটনাস্থলে গিয়ে মারুফকে ধরে নিয়ে আসার চেষ্টা করলে তার মা ও বোনের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়। এসময় বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় মারুফ। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে অজ্ঞান হয়ে যায় তার বোন।

পুলিশের দাবি, এ পর্যায়ে মারুফের মা ও বোনকে হাসপাতালে নিয়ে যায় তারা। তবে বাড়িতে ফিরে মা-বোনকে না দেখতে পেয়ে আটক করা হয়েছে ভেবে আত্মহত্যা করে মারুফ। 

এদিকে, এ ঘটনার পরই এ ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ শুরু করে এলাকাবাসী।

বাংলাধারা/এফএস/টিএম

আরও পড়ুন