বাংলাধারা প্রতিবেদন »
যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে নির্যাতন, একাধিকবার জোর করে গর্ভপাত ঘটানো ও অন্য পুরুষ দিয়ে ধর্ষণ করানোর হুমকি দেয়ার অভিযোগে মো. মহসিন নামের এক চিকিৎসককে গ্রেফতার করেছে করেছে পাঁচলাইশ মডেল থানা পুলিশ। মো. মহসিন নগরের একটি বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক।
রবিবার (২৫ এপ্রিল) মধ্য রাতে নগরের পাঁচলাইশ থানার দক্ষিণ শুলকবহরের একটি বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। একই সাথে স্বামীর বন্দিদশা থেকে স্ত্রী সানজিদা সুলতানাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ। এই ঘটনায় স্বামী, শ্বাশুড়িসহ তিনজনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেছেন ভিকটিম সানজিদা সুলতানা।
পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কাশেম ভুঁইয়া জানান, মাত্র পাঁচ মাস আগে পারিবারিক ভাবে ডা. মো. মহসিনের সাথে সানজিদার বিয়ে হয়। এরপর থেকেই ওই চিকিৎসক মোটর সাইকেল কেনার জন্য যৌতুক দাবি করে বিভিন্ন সময়ে তাকে মারধর করা সহ মানসিক ভাবে নির্যাতন চালাতেন।
সানজিদা অভিযোগ করে জানান, বিয়ের পর প্রতিমাসে চিকিৎসক স্বামী তাকে একটি করে ইনজেকশন নিতে বাধ্য করতো। গর্ভপাত করানোর জন্য এ ইনজেকশান দেয়া হতো বলে ধারণা তার। এছাড়া তাকে বাসায় তালা দিয়ে রাখা হতো। পরিবার কিংবা স্বজনরে সাথেও খুব একটা যোগাযোগ করতে দেয়া হতো না। আর এসব নিয়ে উচ্চবাচ্য করলে অন্য পুরুষ দিয়ে ধর্ষণ করানোর হুমকি দিতেও দ্বিধা করেন নি ডা. মহসিন।
সানজিদার চাচা সোলেমান বলেন, ‘প্রায় আমাদের মেয়েকে নানান ইস্যুতে নির্যাতন করতো। শনিবার রাতে যৌতুক দাবি করে আমার ভাইজিকে অকথ্যভাষায় গালাগালি, এলোপাতাড়ী কিলঘুষি সহ শরীরিক ভাবে নির্যাতন করে৷ এক পর্যায়ে জবাই করে মেরে ফেলার হুমকির সংবাদ পেয়ে আমরা দ্রুত পাঁচলাইশ থানার পুলিশ নিয়ে তাদের বাসায় যাই। মুমূর্ষ অবস্থায় সানজিদাকে উদ্ধার করি। এ ঘটনায় পুলিশ ডা. মহসিনকে আটক করেছে। বর্তমানে সানজিদা চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে ৷ তার দেহের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন আছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।’
বাংলাধারা/এফএস/এআই













