ভারী বৃষ্টিতে চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে তীব্র জলাবদ্ধতা।সোমবার (২৬ মে) দিবাগত রাতে নগরীর নিচু এলাকাগুলোতে হাঁটু সমান পানি জমে গেছে, এমনকি অনেক বাসাবাড়িতেও ঢুকে পড়েছে পানি। এতে সাধারণ মানুষ পড়েছেন চরম দুর্ভোগে।
চকবাজার, বাকলিয়া, আগ্রাবাদ, পাঠানটুলী এবং কাপাসঘোলা এলাকায় জলাবদ্ধতা প্রকট আকার ধারণ করেছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। বিভিন্ন রাস্তায় থাকা গর্তগুলো পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় ঘটেছে ছোটখাটো দুর্ঘটনাও।
নগরবাসীর অভিযোগ, চট্টগ্রামে সামান্য বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়াটা যেন নিয়মিত ঘটনায় পরিণত হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হলেও এবং সিটি কর্পোরেশন ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষসহ বিভিন্ন সংস্থায় দায়িত্ব পরিবর্তন হওয়া সত্ত্বেও স্থায়ী সমাধান মেলেনি।
কাপাসঘোলা এলাকার বাসিন্দা আফসানা বেগম বলেন, “বৃষ্টির পানির সঙ্গে ময়লাও ঘরের নিচে ঢুকে পড়েছে। জরুরি কিছু জিনিস উঁচুতে তুলে রেখেছি। বাচ্চাদের নিয়ে অনেক কষ্টে আছি।”
অন্যদিকে কাতালগঞ্জের বাসিন্দা মো. সামির হোসেন বলেন, “আমাদের এলাকার ড্রেনেজ ব্যবস্থা অনেকদিন ধরেই অকার্যকর। বৃষ্টি হলেই পানি জমে যায়।”
জানা গেছে, চট্টগ্রাম নগরীতে জলাবদ্ধতা নিরসনে সরকার ১৬ হাজার ৭৭১ কোটি টাকার চারটি বৃহৎ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এসব প্রকল্পে খাল পুনঃখনন, ড্রেনেজ ব্যবস্থা উন্নয়ন, রেগুলেটর স্থাপন ও সড়ক নির্মাণ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। তবে প্রকল্পের আওতাধীন অনেক খাল ও নালা এখনো উন্মুক্ত এবং অব্যবস্থাপনার শিকার।
এ কারণে অনেক সময় নালায় পড়ে গিয়ে কিংবা জলাবদ্ধ পানিতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটছে বলে অভিযোগ রয়েছে স্থানীয়দের।
এআরই/বাংলাধারা













