বাংলাধারা প্রতিবেদন»
চট্টগ্রামে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা গত ১৭ মাসে লাখ পেরিয়ে গেছে। সবশেষ শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) ১২০ জন আক্রান্তের মধ্য দিয়ে চট্টগ্রামে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা লাখ অতিক্রম করেছে।
নতুন করে ১২০ জনসহ চট্টগ্রামে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৪৫ জনে। এছাড়া একই দিন মৃত্যু হয় ৫ জনের। এনিয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ২৪৪ জনে।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রতিবেদন অনুসারে, চট্টগ্রামে ২০২০ সালের ৩ এপ্রিল থেকে ২০২১ সালের ৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা মোট ১ লাখ ৪৫ জন। এর মধ্যে নগরে ৭২ হাজার ৬৪৮ জন আর উপজেলায় ২৭ হাজার ৩৯৭ জন।
গত বছরের ৩ এপ্রিল দামপাড়ায় শনাক্তের মাধ্যমেচট্টগ্রামে সংক্রমণের সূচনা হয়। গেল বছরের ৯ মাসে ৩০ হাজার করোনায় আক্রান্ত হয় আর চলতি বছরের গত ৮ মাসেই প্রায় ৭০ হাজারের কাছাকাছি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়। অর্থাৎ মোট এক লাখ করোনা আক্রান্ত রোগীর মধ্যে ৩০ শতাংশ ২০২০ সালে হলেও ২০২১ সালে আক্রান্তের সংখ্যা তা উদ্বেগজনকহারে বেড়েছে, যার পরিমাণ প্রায় ৭০ শতাংশ।
চীন থেকে আসা ভাইরাসে চট্টগ্রামের লোকজন সংক্রমিত হলেও সর্বপ্রথম আক্রান্তদের জিনোম সিকোয়েন্স বিশ্লেষণ করে গবেষকরা জানিয়েছিলেন, চট্টগ্রামে প্রথম আক্রমণকারী ভাইরাসটি আলফা তথা আফ্রিকান ভ্যারিয়েন্ট। এরপর বিটা তথা যুক্তরাজ্যের ভেরিয়েন্ট এবং পরবর্তীতে ডেল্টা তথা ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হয়েছে।
তবে প্রথম দু’টি ভ্যারিয়েন্টে তেমন রোগী আক্রান্ত ও মারা না গেলেও গত রোজার ঈদের পর থেকেই চট্টগ্রামের করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ ধারণ করে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছে, চট্টগ্রামের সরকারি-বেসরকারি কোন হাসপাতালেই আইসিইউ দূর জেনারেল কোভিড বেডের সিটও খালি নেই। তবে স্বস্তির খবর হচ্ছে, বর্তমানে করোনার সংক্রমণ কমে এসেছে। হাসপাতালগুলোতেও আইসিইউ ও সিট খালি রয়েছে। নমুনা বিবেচনায় শনাক্তের হার নিচে নেমে এসেছে। গত তিন মাস আগেও যেখানে শনাক্তের হার ৩৫ শতাংশের বেশি ছিল সেখানে সর্বশেষ শনিবারের চট্টগ্রামে শনাক্তের হার মাত্র ১১ দশমিক ৮২ শতাংশ।
সংক্রমণ ও মৃত্যু কমলেও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানদণ্ড অনুযায়ী তা এখনও প্রায় তিনগুণ বেশি। এমন বাস্তবতায় সাধারণ মানুষকে আরও বেশি সতর্ক থাকার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
বাংলাধারা/এফএস/এফএস













