২৫ অক্টোবর ২০২৫

চট্টগ্রামে হাসপাতালের বর্জ্যে হুমকিতে জনস্বাস্থ্য!

বাংলাধারা প্রতিবেদন »  

বন্দর নগরী চট্টগ্রামে প্রতিদিন যে পরিমাণ বর্জ্য জমে তার অর্ধেকের বেশিই হাসপাতাল ও ক্লিনিকের জৈব-বর্জ্য৷ এর সঙ্গে মিশছে গৃহস্থালি আবর্জনা। হাসপাতাল, ক্লিনিক ও গৃহস্থালি আবর্জনা মিশে তা পরিণত হচ্ছে ক্লিনিক্যাল বর্জ্যে। আর এই কারণে পরিবেশ এবং মানবজীবন হুমকির সম্মুখীন হবার সম্ভাবনা বাড়ছে বলে মনে করছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

জানা গেছে, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালসহ ৯০টি বেসরকারি হাসপাতাল ও ১৮৩টি ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠান থেকে প্রতিদিন বিপুল পরিমাণ রোগীর ব্যবহৃত প্যাথলজিক্যাল বর্জ্য, সিরিঞ্জ, ধারালো সরঞ্জামের সঙ্গে করোনা রোগী ও চিকিৎসকদের ব্যবহৃত পিপিই, মাস্ক, গ্লাভস মিশছে। স্বাস্থ্যকর্মী, রোগী ও রোগীর স্বজন মিলে প্রায় ২০ হাজারের বেশি মানুষ প্রতিদিন ৭-৮ টন মেডিকেল ও করোনা বর্জ্য তৈরি করছে। যা গিয়ে পড়ে খোলা বা উন্মুক্ত আবর্জনার স্তূপে।

পরিবেশবিদরা বলছেন, এসব বর্জ্য পরিশোধনে গুরুত্ব না দিলে মাটি ও পানির মাধ্যমে জীবাণু প্রবেশ করতে পারে খাদ্যচক্রে। এতে ঘটতে পারে রোগের ভয়াবহ বিস্তার। তাই পরিস্থিতি মোকাবেলায় সাধারণ বর্জ্যের সঙ্গে না মিশিয়ে আলাদা ব্যাগে এসব বর্জ্য সংগ্রহ করার পরামর্শ দিয়েছেন গবেষকরা।

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান পরিচ্ছন্নতা কর্মকর্তা শেখ শফিকুল মান্নান সিদ্দিকী বলেন, চট্টগ্রামে প্রতিদিন দুই টন মেডিকেল বর্জ্য সংগ্রহ করা হয়। এগুলো হালিশহর আনন্দবাজার এলাকার ময়লার ডিপোতে নিয়ে ফেলা হয়। তবে চট্টগ্রামে কোনো ইনসিনারেটর মেশিন না থাকায় এসব বর্জ্য জীবাণুমুক্ত করা সম্ভব হয় না।

চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি জানান, চট্টগ্রামের বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিক থেকে প্রতিদিন রোগীর ব্যবহৃত প্যাথলজিক্যাল বর্জ্য, সিরিঞ্জ, ধারালো সরঞ্জামের সঙ্গে করোনা রোগী ও চিকিৎসকদের ব্যবহৃত পিপিই, মাস্ক, গ্লাভস মিশছে। এই বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও পরিশোধনের বিষয়ে আমরা প্রতিনিয়ত জোর দিচ্ছি, বিভিন্ন দিক-নির্দেশনাও দিচ্ছি। মানুষের স্বাস্হ্য সুরক্ষা নিশ্চিতে চট্টগ্রামের প্রতিটি হাসপাতালকে বর্জ্য পরিশোধন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে।

বাংলাধারা/এফএস/টিএম

আরও পড়ুন