চট্টগ্রাম মহানগরের প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে শহীদ ওয়াসিম উদ্দিনের নামে নামকরণ করা হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় চট্টগ্রাম কলেজের ছাত্র ওয়াসিম উদ্দিন প্রথম শহীদ হন। তার স্মরণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) জানিয়েছে, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় বুধবার এক্সপ্রেসওয়ের নাম পরিবর্তন নিশ্চিত করা হয়।
শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) সকাল থেকে এক্সপ্রেসওয়েতে আনুষ্ঠানিকভাবে টোল আদায় শুরু হয়েছে। পতেঙ্গা প্রান্তে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন গৃহায়ন ও গণপূর্তবিষয়ক উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।
নতুন টোলের হার:এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে ১০ ধরনের গাড়ির জন্য টোল নির্ধারণ করা হয়েছে।
সিএনজি অটোরিকশা: ৩০ টাকা
কার: ৮০ টাকা
জিপ ও মাইক্রোবাস: ১০০ টাকা
পিকআপ: ১৫০ টাকা
মিনিবাস ও চার চাকার ট্রাক: ২০০ টাকা
বাস: ২৮০ টাকা
ছয় চাকার ট্রাক: ৩০০ টাকা
কাভার্ড ভ্যান: ৪৫০ টাকা
মোটরসাইকেল ও ট্রেইলার এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহারের সুযোগ পাবে না।
সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের প্রেক্ষাপট:গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর টোল নেওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হলেও তা স্থগিত করা হয়েছিল। পরে ৩ নভেম্বর নতুন টোল হার প্রস্তাব করে সিডিএ, যা ২৭ নভেম্বর চূড়ান্ত অনুমোদন পায়।
সিডিএর প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস জানিয়েছেন, এখন থেকে এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহারের জন্য টোল প্রদান বাধ্যতামূলক। আপাতত সিডিএ এই কার্যক্রম পরিচালনা করবে, তবে ভবিষ্যতে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দেওয়া হবে।
নগরীর পরিবহনে নতুন দিগন্ত:এই এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে চট্টগ্রামের পরিবহন ব্যবস্থায় উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনবে বলে আশা করা হচ্ছে। শহীদ ওয়াসিম উদ্দিনের নামে নামকরণ করা এক্সপ্রেসওয়েটি শুধুমাত্র একটি অবকাঠামো নয়, এটি চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক ছাত্র আন্দোলনের প্রতীক হয়ে থাকবে।