২৬ অক্টোবর ২০২৫

চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে ৭৫ হাজার ৪৩২ কোটি টাকা রাজস্ব আদায়

সদ্য বিদায়ী ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে দেশের সবচেয়ে বড় রাজস্ব আহরণ কেন্দ্র চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে প্রাথমিক হিসাবে রাজস্ব আহরণ হয়েছে ৭৫ হাজার ৪৩২ কোটি টাকা। যেখানে এর আগের অর্থ বছরে চূড়ান্ত আাদায় ছিল ৬৮ হাজার ৭৫৫ কোটি টাকা। এ হিসাবে প্রবৃদ্ধি ৯ দশমিক ৭১ শতাংশ।যদিও কাস্টম হাউসকে লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া ছিল ৮০ হাজার ৪০২ কোটি টাকা।

বিদায়ী অর্থবছরের শুরুতে জুলাই অভ্যুত্থান, সপ্তাহব্যাপী ইন্টারনেট বন্ধ থাকা, ডলার সংকট, ফেনীতে ভয়াবহ বন্যা, দুই ঈদের ছুটি, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, পণ্যবাহী গাড়িচালকদের কর্মবিরতি, কাস্টমসের কলম বিরতি, এনবিআরের কমপ্লিট শাট ডাউনসহ নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হয়েছে দেশের অর্থনীতিকে। তারপরও আগের বছরের চেয়ে প্রবৃদ্ধি সন্তোষজনক।

সংশ্লিষ্টরা জানান, দেশের প্রধান সমুদ্র বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি হওয়া পণ্যের শুল্ক, জরিমানা আদায় করে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস। পাশাপাশি এনবিআরের অন্যান্য বিভাগের রাজস্বও আদায় করে জমা দিয়ে থাকে। যা কাস্টম হাউসের হিসাবে জমা হয় না। শুল্ক আদায়ের পাশাপাশি চোরাচালান, মিথ্যা ঘোষণায় শুল্ক ফাঁকি রোধ, জনস্বাস্থ্য, ট্রেড ফ্যাসিলিটি, শিল্পায়ন, জ্বালানি নিরাপত্তা, নিত্যপণ্যের সাপ্লাইচেইন, কর্মসংস্থান, দেশি ও আন্তর্জাতিক আইন প্রতিপালন করে কাস্টমস।

এবার চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর ২০২৪-২৫ অর্থবছরে কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ে নতুন রেকর্ড গড়েছে। অর্থবছরটিতে চট্টগ্রাম বন্দরে ৩২ লাখ ৯৬ হাজার ৬৭ টিইইউস (২০ ফুট দৈর্ঘ্য হিসেবে) কনটেইনার ওঠানামা হয়েছে। আগের অর্থবছরে যা ছিল ৩১ লাখ ৬৮ হাজার ৬৯০ টিইইউস। আগের অর্থবছরের চেয়ে এবার বেশি হ্যান্ডলিং হয়েছে ১ লাখ ২৭ হাজার ৩৭৭ টিইইউস। যা ৪ দশমিক ০২ শতাংশ বেশি।

সদ্য বিদায়ী অর্থবছরে চট্টগ্রাম বন্দর কার্গো (খোলা পণ্য) হ্যান্ডলিং করেছে ১৩ কোটি ৭ লাখ ২৪ হাজার ৭৮৩ লাখ মেট্রিক টন। বন্দরে জাহাজ এসেছে ৪ হাজার ৭৭টি।

চট্টগ্রাম সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এসএম সাইফুল আলম বলেন, অর্থবছর জুড়ে নানা সংকট ছিল। দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, ব্যবসা ও বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত হলে রাজস্ব আহরণ বাড়বে। এত প্রতিবন্ধকতার পরও গত অর্থ বছরের চেয়ে প্রায় ১০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি নিঃসন্দেহে সন্তোষজনক।

এআরই/বাংলাধারা

আরও পড়ুন